ডেস্ক রিপোর্ট:
গায়েবি মামলা সূত্রে হয়রানি, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এপিলেট ডিভিশনের অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার আবেদন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর গত ২৮ আগস্ট আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খান। নোটিশে তিনি নিজেকে গায়েবি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, গায়েবি মামলায় হয়রানি, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাজে বাধা, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে যেসব ‘গায়েবি মামলা’ হয়েছে, সেগুলোর কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। শিগগিরই রিট শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিগত ১৭ বছর তাকে পুলিশ গায়েবী মামলায় আসামী করে জেলজুলুম খাটিয়েছে বলেও জানান তৈমূর আলম। গ্রেপ্তারের বর্ণণা দিতে গিয়ে তৈমূর আলম বলেন, ফতুল্লা থানার ওসি আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসে আমার গলা চেপে ধরেছিলেন, আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত উপকক্রম হয়েছিল।