বিনাভোটে তিনবার এমপি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে গডফাদার: গিয়াস

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার সব থেকে বড় গডফাদার তৈরি করেছিল এই নারায়ণগঞ্জে। বিনা ভোটে তিনবার সে এমপি নির্বাচন করেছে। তার সাথে ছিল বিশাল ক্যাডার বাহিনী। এলাকার মানুষ তার কাছে যেতে পারেনি। তার এলাকার মানুষের দেখা করতে আসলেও দেখা করতে পারেনি, ফিরে যেতে হয়েছে। তারপরও সেখানে কিছু নেতা কর্মীরা যেত কারণ, সেখানে গেলে হাড্ডি কুড়িয়ে পাওয়া যায়। অপমান অপদস্থ হওয়ার পরও গডফাদারকে সালাম দিয়ে চলেছে অনেক নেতা কর্মী।

গিয়াস আরো বলেন, গডফাদারকে সালাম দিয়ে অনেক নেতা কর্মী সমাজে চলতো। তারা হুংকার দিয়ে বলেছে বিএনপির কোন নেতাকর্মী মাটির ৭০ গজ নিচে থাকলে, তাকে সেখান থেকে তুলে আনা হবে। ঘুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের বাড়ি ঘর ছাড়া করেছে। অনেকে তাকে সিংহ পুরুষ ডেকেছে, সিংহ পুরুষ মানে তো জানোয়ার। মানুষ তাকে জানোয়ার খ্যাতি দিয়েছে। আর এই ডাক শুনে সে গর্ব করতে।

২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন গিয়াসউদ্দিন।

সাবেক এই এমপি বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের জন্য আমরা যখন আন্দোলন করি তখন নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে কিংবা বাড়িঘর ছাড়া রেখেছে। আপনার আগেই জানেন এখানে যারা আওয়ামী লীগ নেতা এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসর ছিল তারা কিভাবে এখানে অন্যায় জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা বিএনপিকে চিরতরে শেষ করে দেবে বলে হুংকারও দিয়েছিল। সরকারেও পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে চাঁদাবাজি করেনি।

সিদ্ধিরগঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে দিনমজুর, সিএনজি চালক ও রিকশা চালকদের থেকে এখানের আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা উঠিয়ে খেত। এমন কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র বা এমন কোন হকার নেই যাদের থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা নেয় নি। তারা অর্থনীতিকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পুলিশ ও থানার দালাল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করেছে। মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে আসামি করে তাদের থেকে টাকা লুটপাট করেছে। এমন কোন অপকর্ম নয় যেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করে নাই। তাদের এই অপকর্মের জন্য নারায়ণগঞ্জবাসী সারা বাংলাদেশের কাছে লজ্জিত।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলাম হোসেন প্রমূখ।