সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব বলেছেন, বিগত ১৭টি বছর আমরা বাড়িতে ছিলাম না। প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম, রাজপথে ছিলাম। ১৭ বছর পর মা বোনেরা আমাদের ছায়া দেখতে পেরেছেন। আমরা ছাত্রদের সাথেও আন্দোলন করেছি, আন্দোলন ১৭ বছর ধরেই করে যাচ্ছি। এই ১৭টি বছর আমরা ভালো ছিলাম না। দেশের মানুষও ভালো ছিল না।
তিনি আরো বলেন, মা বোনেরা ভালোভাবে চলতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারেনি। অন্যায় অত্যাচারিত হছে দেশের মানুষ। বিএনপি কখনো চাঁদাবাজি করেনা, চাঁদাবাজি করে আওয়ামীলীগ। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ চাঁদাবাজমুক্ত হয়েছে।
৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নানারকম অস্থিরতা নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা গুজব, অপপ্রচার, মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস, চাদাবাজী, দখলদারদের বিরুদ্ধে ও শারদীয় দূর্গা পূজায় সকল পূজা মন্ডবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সজীব।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের আমণল সেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তার কর্মকান্ডের হিসেব দিয়ে সোনারগাঁয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সমাবেশের প্রধান অতিথি আজহারুল ইসলাম মান্নান।
রেজাউল করিমকে ইঙ্গিত করে মান্নান বলেছেন, ১/১১ এর সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা কথা বলেছিলেন, দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী সংস্থারপন্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁবাসীর সঙ্গে তিনি যা যা করেছিলেন তার জবাব দিয়ে তারপর সোনারগাঁয়ে উনাকে আসা উচিত। নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তিনি প্রতারণা করেছিলেন, ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দিতেন ৫জনকে, কিন্তু তিনি টাকা নিতেন ৫০ জনের কাছ থেকে। সোনারগাঁবাসীর কাছে উনাকে জবাবদিহি করতে হবে।
মান্নান আরো বলেন, গত ১৭টি বছর তিনি কোথায় ছিলেন? নেতাকর্মীদের কাছে সেই জবাবদিহি করে তারপর তাকে সোনারগাঁয়ে আসা উচিত। সামনে সংস্খারপন্থী সুযোগসন্ধানী সুবিধাভোগীদের ঠাঁই সোনারগাঁয়ে বিএনপিতে হবে না।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর সোনারগাঁয়ে কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে মন্দিরে সমস্যা হয়নি। আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে পাহাড়া দিয়েছি। সোনারগাঁয়ে কোনো সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মেম্বারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাজাহান মেম্বার, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব।
এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডাক্তার মিজানুর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রউফনারগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুম রানা, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক শহিদ সরকার পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ছোরহাব হোসেন পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি শফিউল আলম বাচ্চু, ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক, বরকত মোল্লা, খবির হোসেন, সামাদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমূখ।
সমাবেশে উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।