‘শামীম ওসমানের সন্ত্রাসের রাজত্ব, উন্নয়নবঞ্চিত ফতুল্লায় বিশেষ কারন ছাড়া আসেনি গিয়াসও’

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার অবহেলিত মানুষের মান উন্নয়নের স্বার্থেই জনপ্রতিনিধি হতে চান রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। ফতুল্লা থানা বিএনপির এ সাংগঠনিক সম্পাদক, মনে করেন ফতুল্লা থেকে কোন এমপি নির্বাচিত না হওয়ার কারণে বিগত দিনে এ জনপদের আশানুরূপ উন্নয়ন ঘটেনি। এ কারণেই তিনি নির্বাচন করতে চান।

সম্প্রতি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনের নির্বাচনগুলো দেখলে বুঝা যায় এ ফতুল্লা থেকে সরাসরি এমপি নির্বাচিত হয়নি। ২০২৪, ২০১৮ ও ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে শামীম ওসমান এমপি নির্বাচিত হন। জনগণের ভোটে তিনি এমপি হননি। তিনি থাকতেন রাজধানীর বসুন্ধরা কিংবা গুলশানে। ফতুল্লার জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়ী থাকলেও তিনি শহরেই সময় অতিবাহিত করতেন। অধিকাংশ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় না থাকার কারনে তার জনগন কিংবা উন্নয়নমূলক কাজে তার মনযোগ তেমন না থাকায় উন্নয়নবঞ্চিত ছিল ফতুল্লাবাসী। তাছাড়া, শামীম ওসমান বিভিন্নস্থানে যে উন্নয়নের ভূলি জনগনের মাঝে ছড়াতেন তা ছিল শুধুমাত্র আইওয়াশ। তবে, শামীম ওসমানের নির্বাচিত এলাকায় জনগনের ভাগ্য বদল না হলেও তার চামচা চামুন্ডাদের ভাগ্যের ঠিকিই বদল হয়েছে।

শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে এমপি থাকাকালীন সময়ে সর্বত্র ছিল সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব। হত্যা, চাদাঁবাজি,রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের কারনে সাধারন মানুষ দীর্ঘ সময় একটা জিম্মি দশায় ছিল। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনের সময়ে শামীম ওসমানের নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই শামীম ওসমানও তার নেতা কর্মীদের রেখে পালিয়ে যান।

শামীম ওসমানের অপরাধের ফিরিস্তি বলে শেষ করা যাবে না এ মন্তব্য করে রিয়াদ চৌধুরী আরো বলেন, এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হউন চিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী। তিনিও থাকতেন গুলশানে। ফতুল্লার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক ছিল নাম ওয়াস্তে। উন্নয়ন থেকে তার কথিত পিএস দৌড় সেন্টুর মাধ্যমে ফতুল্লাকে সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিনত করেছিল। ফলে ফতুল্লাবাসী উন্নয়নের বদলে লাঞ্চিতই ছিল। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধনবান হওয়া। এর পরই এ আসনে শামীম ওসমান এমপি হয়ে পূনরায় সন্ত্রাসীদের জনপদে পরিনত করেন ফতুল্লাকে। শামীম ওসমান ফতুল্লায় এমপি থাকাকালীন সময়ে ফতুল্লাবাসী কতটা ভয় এবং আতংকের মধ্যে দিয়ে দিনযাপন করেছে সাংবাদিকরা তা খোঁজ নিলেই বের হয়ে আসবে শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্মের ফিরিস্তি।

মূলত, এখানকার আওয়ামীলীগের এমপি যারাই ছিলেন উন্নয়নে আগ্রহ দেখাননি। যদি ফতুল্লায় উন্নয়ন হতো তবে, জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে ফতুল্লাবাসীর মুক্তি মিলতো। আর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যে কি পরিমান উন্নয়ন আওয়ামীলীগের আমলে হয়েছিল তা ফতুল্লার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দেখলেই অবগত হওয়া যায়। আর বিনা ভোটের নির্বাচিত কথিত এমপিরা কতটুকুই উন্নয়ন করবেন??? তারাতো আর জনগনের ভোটে নির্বাচিত হননি!

রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী আরো বলেন, এর আগে এ আসনে বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সাহেব এমপি ছিলেন বিএনপি থেকে। তিনিও থাকেন সিদ্ধিরগঞ্জে। বিশেষ কোন কারন ছাড়াই ফতুল্লায় আসতেন না গিয়াসউদ্দিন। তাই সামগ্রিক দিক দিয়ে সর্বদাই ফতুল্লাবাসী ছিল অবহেলিত এবং উন্নয়নবঞ্চিত।

সূত্র: যুগের নারায়ণগঞ্জ