সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টিঘেষা হাজী মনির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করা হলেও তার সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা নেই। নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হাজী মনির হোসেন। সেই হাজী মনির হোসেনকে মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করায় ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা মহানগর বিএনপির বৃহত্তর অংশের অনুমোদনে পাল্টা কমিটিও এখানে ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক শহর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার খন্দকারকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। যে কারনে বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীরা এখন দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, সেলিম ওসমানের আশীর্বাদে হাজী মনির হোসেন বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনে ছড়ি ঘুরিছেন। সেখানে তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল ও আওয়ামীলীগ নেতা কবির হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা রেখে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করেছেন। আওযামীলীগ নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে বসে রাজনীতি করেছেন এবং ব্যবসায় বাজিন্য করে লাভবান হয়েছেন হাজী মনির।
এ ছাড়াও জাতীয়পার্টির নেতা ও ১৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দীন প্রধানের সঙ্গেও জাতীয় পার্টির একাধিক অনুষ্ঠানে বসেছেন হাজী মনির হোসেন। প্রতিটা জাতীয় নির্বিাচনে সেলিম ওসমানের লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন হাজী মনির হোসেন। বর্তমানে ৫ আগস্টের পর বিএনপির বড় নেতা বনে গেছেন হাজী মনির হোসেন। কিন্তু তার আগেই ২০২৩ সালের ২০ মে ওয়ার্ড বিএনপির পাতানো সম্মেলনে হাজী মনির হোসেনকে সভাপতি, হারুন অর রশিদ রানাকে সাধারণ সম্পাদক ও শওকত হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
নেতাকর্মীরা জানান, কমিটি গঠনের আগেও হাজী মনির হোসেনকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায়নি। বর্তমানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে হাজী মনির হোসেনের সখ্যতার একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- অবিলম্বে হাজী মনির হোসেনকে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওসমান পরিবারের রাহুমক্ত করে ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকমৃীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হোক।