সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে কে কাকে ঠেকাবে সেই রাজনীতি চলছে। বিভিন্ন বৈধ ও অবৈধ সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মাঝেও রীতিমত লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই চালাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের মত একাধিক ঘটনাও ঘটিয়েছেন। তবে বৈধ সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণে বৈধভাবে ব্যবসা বানিজ্য চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরাও। বেশক’জন পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ রাজনীতিক নেতাকর্মীরা বৈধভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে জেলা বিএনপির এক প্রতাপশালী ও প্রভাবশালী নেতার রোষানলে পড়েছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, শুরুতেই জেলা বিএনপির ওই প্রভাবশালী নেতার রোষানলে পড়েন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। এরপর মহানগর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। রিয়াদ চৌধুরীকে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে বেআইনিভাবে অব্যাহতির ঘোষণা করা হয় জেলা বিএনপির ওই প্রভাবশালী নেতার ইশারায়। যা পরবর্তীতে ধোপে টিকেনি। আদমজী ইপিজেডে বৈধভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে জেলা বিএনপির ওই নেতার সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদল নেতা সাগর। যার ফলশ্রুতিতে মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে অনেকের দাবি। জেলা বিএনপির ওই প্রভাবশালী নেতার কানপড়ার কারনে কেন্দ্রীয় কমিটি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়। যদিও সাগর দাবি করছেন- কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এখানে কারো কোনো হাত নেই।
অন্যদিকে আদমজী ইপিজেডে বৈধভাবে ব্যবসা করতে গিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন নাসিকের সাবেক কাউনিসলর মহানগর মহিলা দলের সদস্য সচিব আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু। তারা আদমজী ইপিজেডে বৈধভাবে ঝুট ব্যবসা করতে যাওয়ায় তাদেরকে এখন ঝুট সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ব্যবসা থেকে সরাতে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করা হয়েছে কোর্টে। বেশকিছু গণমাধ্যমেও তাদেরকে ঝুট সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তবে দিনা গণমাধ্যমে সাফ জানিয়েছেন তিনি ছেড়ে দেয়ার মানুষ নন। তিনি সাহেদ ও বাবুকে নিয়ে বৈধভাবে ইপিজেডে ঝুটের ব্যবসা করে আসছেন। সেখানে জেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতার পুত্রের অনুসারী একটি সংগঠনের পরিচয়ে লোকজন তাদের বৈধভাবে ব্যবসার ঝুট ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করে দেয়া হয়।