বিএনপির যেসব নেতাদের পরিশ্রমে সোনারগাঁয়ে হিন্দুসম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

শান্তিপূর্ণভাবে গত ১৩ অক্টোবর সম্পন্ন হয়েছে হিন্দুসম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় ৩৭টি পূজামণ্ডপে এ বছর পূজা উদযাপন করেছেন হিন্দুসম্প্রদায়। সোনারগাঁয়ে নির্বিঘ্নে এই পূজা উৎসব পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কোথাও কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। হিন্দুসম্প্রদায় অনেকটা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ বছর পূজা উদযাপন করেছেন। যেখানে প্রতিমুহুর্তের কার্যক্রম মনিটর করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

তাদের নেতৃত্বে ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর সার্বিক নানা ভুমিকায় এ বছর দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপন করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন হিন্দুসম্প্রদায়। তারা বলছেন, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমাণ করেছেন বাংলোদেশের সংবিধানে যেমন সকলের অধিকার সমান, ঠিক তেমনিভাবে এ দেশে হিন্দু মুসলিম বৈদ্ধ্য খ্রিস্টান সকলের ধর্মীয় উৎসব পালনে সমান অধিকার বিদ্যমান। তবে ষড়যন্ত্রকারী ও অরাজনীতিকদের গ্যাড়ালে যেনো হিন্দুসম্প্রদায় ঢাল না হতে পারে সেজন্য সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি সরব ও সজাগ থেকেছেন পূজা উদযাপনে।

স্থানীয়দের সূত্রে, গত ৫ আগস্ট থেকেই সোনারগাঁয়ের প্রতিটা মন্দির দিনরাত পাহাড়া দিয়েছেন উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে যুবদলের নেতাকর্মীরা রাতভর সজাগ থেকে মন্দির পাহাড়া দিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও। সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মান্নান ও মোশারফ হোসেন। এ ছাড়াও প্রতিটি মন্দির পাহাড়ায় কাজ করেছেন বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলসহ কৃষক দল, শ্রমিকদল ও জাসাসের নেতাকর্মীরা। যার ফলে ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাজনীতিকরা সোনারগাঁয়ে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেনি। হিন্দ্র সম্প্রদায়ের উপর ভর করে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর সুযোগ দেয়নি বিএনপি।

সোনারগাঁয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তর মন্দিরগুলোর মধ্যে বারদী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী আশ্রম, পৌরসভার ভট্টপুর ঋষিপাড়া, পানাম নগরীর পুজামণ্ডপ, সাদিপুরের পুজামণ্ডপগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এসব পুজামণ্ডপে বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের আগমন ঘটে।  যে কারনে এসব মণ্ডপগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরো বেশি সরব ছিলেন।  শুধু সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণই নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে প্রতিদিন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণও করা হয়েছে।

পুজা শুরুর আগেই উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে গত ৩ অক্টোবর উপজেলা প্রশাসনের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ৩৭টি পুজামণ্ডপে তিনি এই অনুদান প্রদান করেন। এরপর তারেক রহমানের পক্ষে মান্নানের নির্দেশনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ সহ নানা সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় বিএনপি। একইভাবে প্রতিটা ইউনিয়ন বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ প্রতিটা পূজামণ্ডপ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে কিনা সেটাও প্রত্যক্ষভাবে মনিটর করেছেন। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো সক্রিয় হয়নি পুরোপুরিভাবে। যে কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরাই আইন শৃঙ্খলার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎসব সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে অধিকাংশ পূজা মণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন সরাসারি উপস্থিত হয়ে। এর বাহিরেও প্রতিটা মুহুর্ত নেতাকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজখবর রেখেছেন তারা।

এ ছাড়াও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনে যেসব নেতারা উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম উপজজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক রুমী, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কামরুজ্জামান ভুঁইয়া মাসুম, নিজামউদ্দীন, মজিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক, তাইজুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রহমান মুন্সী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডাক্তার মিজানুর রহমান, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোমেন খান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ মেম্বার, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সরকার, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, বারদী ইউনিযন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মেম্বার, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম, উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হোসাইন, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ বাবুল, উপজেলা জাসাসের সভাপতি মোঃ আমির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ আলম, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা রাকিব হাসান, সোহেল রানা, করিম রহমান, বাবুু, সোনারগাঁ পৌর যুবদল নেতা আবু সালেহ মুসা, মোহাম্মদ আল-আমিন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা ইমরান ফারুক, সোনারগাঁও পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি আবুল হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ডালিম শিকদার, শাহ আলম ও ছাত্রদল নেতা ইয়ামিন শিশির ও সামি প্রমূখ।