বাস কাউন্টারের মালিকের উপর হামলা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাখাওয়াত হোসেন রানার নির্দেশে একদল যুবক সিফাত বাস কাউন্টারের মালিক ও তার সহকর্মীদের ওপরে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে কাউন্টার মালিক সহ দুজন জখম হয়েছেন।

১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে বাস কাউন্টার মালিক তামান্না দেওয়ান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ৯ অক্টোবর রাতে ফতুল্লা চানমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আসামিরা হলেন- মাহমুদ (৫০), সজল (২৫), ভাঙ্গারী কাশেম (৩৮), বাচ্চু (৫০) সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১০-১২ জন। তবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাখাওয়াত হোসেন রানার নির্দেশে উপরোক্ত আসামিরা এই হামলা চালায়।

লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করে তামান্না দেওয়ান দোলা বলেন, আমি ফতুল্লা থানাধীন সিফাত বাস কাউন্টারের মালিক। সিফাত পরিবহন বাস নারায়ণগঞ্জ টু জামালপুর রুটে চলাচল করে। বিবাদীরা রানা বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। বিবাদীরা রানা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। আনুমানিক এক থেকে দেড় মাস যাবত উল্লেখিত বিবাদীরা রানা বাহিনীর নির্দেশে অন্যায়ভাবে আমাদের বাস কাউন্টারের এসে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ জোর পূর্বক বাস কাউন্টার দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে আসতেছে।

এর ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উল্লেখিত বিবাদী সহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন মিলে লোহার রড সহ দেশি অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফতুল্লা থানাধীন চানমারীস্থ সিফাত বাস কাউন্টারের ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার সহকর্মী আসমা খাতুন শিরিন সহ বাস কাউন্টারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদীরা আমাদের ওপর হামলা করে এলোপাথারি মারধর করে। এ সময় বিবাদী সজল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় ও বাম হাতে আঘাত করে। এতে হাতের হাড় ভেঙে জখম হয়েছে। ওই সময় আমার সহকর্মী আসমা খাতুন শিরিন আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও এলোপাথারী মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়েছে। হামলার সময় বিবাদীরা বাস কাউন্টারের ক্যাশ হতে নগদ ১৮ হাজার ৪৩০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে বাদী তামান্না দেওয়ান দোলা আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাখাওয়াত হোসেন রানার নির্দেশে তার লোকজন আমাদের ওপরে হামলা করেছে। আমরা তাদের বিচার চাই।