সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত৪ আগস্ট উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে মোঃ আশিক মিয়া (২০) নামে একজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আশিকের স্বজনরা বাদি হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গতকাল রাতে কাঁচপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৫ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। আসামি করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কাঁচপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম (৫০), যুবলীগের সদস্য আফজাল (৪২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরু উদ্দিন ওরফে সাধু (৫২), আওয়ামী লীগ কর্মী মোফাজ্জল (৫৪) এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৫০)।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল এবং রামদা নিয়ে অবস্থানরত ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণ চালায়। সংঘর্ষের সময় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণে ছাত্র আশিক মিয়াসহ ১৫-২০ জন আহত হয়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় আশিককে বারাকাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট সকাল ১০টা ৭ মিনিটে আশিক মারা যায়।