সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নে ভূমিদস্যূতা সম্পর্কিত হাইকোর্টের একটি আদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন রিটের বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ১২ মে রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তৈমূর আলম খন্দকার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- রূপগঞ্জ উপজেলাধীন রূপগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে (১) ইষ্ট ওয়েষ্ট প্রপাটি ডেভলপমেন্ট প্রাঃ লিঃ, অফিস-১২৫/এ ব্লক, বসুন্ধরা আ/এ, ভাটরা, ঢাকা-১২২৯; (২) বসুন্ধরা সাইনিয়া সার্ভিসেস লিঃ, অফিস-১২৫/এ ব্লক, বসুন্ধরা আ/এ, ভাটরা, ঢাকা-১২২৯ ও (৩) আশালয় হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিঃ, হাউস নং-৩৭, রোড নং-১৮, সেক্টর নং-৩০, উত্তরা কর্তৃক অবৈধভাবে জোরপূর্বক ফসলী জমি, কবরস্থান, জলাশয়, পুকুর, খাল, বিল বালু মাটি দ্বারা ভর্তি করার কার্যক্রম বন্ধ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে গত ৭ মে রুল জারীপূর্বক আদেশ প্রাপ্তীর ১৫ দিনের মধ্যে গ্রামবাসী কর্তৃক প্রদত্ত এতদসংক্রান্ত ১০ এপ্রিলে আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য হাই কোর্ট জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। উচ্চ আদালতের উক্ত আদেশ ১২ মে রবিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক দপ্তর সহ পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছেছে।’
এ সম্পর্কে গ্রামবাসীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সরকার ও প্রশাসন কর্তৃক ভূমিদস্যুদের অবৈধ জবরদখল বন্ধ না করায় কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না মর্মে হাই কোর্ট রুল জারীসহ গ্রামবাসীদের আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য (আদেশ প্রাপ্তির) ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। হাই কোর্টের আদেশ ১২ মে ররিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছেছে বিধায় ১৫ দিন শেষবদি অর্থাৎ ২৭ মে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবো, যথাযথ প্রতিকার না পাওয়া গেলে ২৮ মে আদালত অবমাননাসহ প্রতিকারের জন্য হাই কোর্টে আবেদন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন, আইন নিজস্ব গতিতে চললে গ্রামবাসী কৃষকদের জমি অবশ্যই ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পাবে।