সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালত জজ কোর্টে জামিন নিতে এসে নারায়ণগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের তিন কর্মচারি সহ ভূমিদস্যু মিজান ও তার বাবা হযরত আলিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
২৭ অক্টোবর রবিবারে জজ কোর্টে আসামিরা জামিন নিতে আসলে আসামিদের জামির নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। মামলা সূত্রে জানা যায় প্রায় দেড় কোটি টাকা জমির জাল দলিল তৈরি করে ১৯৭৬ সালে গুলবদন নেছা কাছে বন্দর থানার হযরত আলী ৩০ শতাংশ জমি ত্রুয় করেন। দুই বছর পর ১৯৭৮ সালে গুলবদন নেছার ওই জমি দুখাই মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। দুখাই মিয়া মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছে ২০২২ইং সালে হযরত আলী ও তার ছেলে মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় রুবেল আলামিন ও এসহাক মিয়া সহ অনেকেই প্রচার করেন ওই জমির মালিক দুখাই মিয়া বা তার পরিবারের সদস্যরা নন দুখাইর ছেলে নূর হোসেন জমি দখল করে আছে। একপর্যায়ে নূর হোসেনকে ভয়-ভীতি দেখানো হয় জমিটি দখল করে আছে।
ভুক্তভোগী নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জ কোর্টে সিআর মামলা নং ৫৯২৪- দায়ের করলে তদন্ত দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি কে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে ১৯৭৬ সালে গুলবদন নেছার কাছে গুলবদন ৩০শতাংশ জমি বিক্রয় করেন পর ১৯৭৮ সালে গুলবদন নেছা ওই জমি দুখাই মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। দুখাই মিয়া মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমি ভোগ করে দখল করে আসছেন কিন্ত বন্দর উপজেলার হযরত আলির ছেলে ভূমিদস্যু মিজান নারায়ণগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের দুর্নীতিবাজ তিন কর্মচারী সহায়তায় টাকার বিনিময়ে জমির দাগ নাম্বার মুছে নকল দাগ নাম্বার তৈরি করে। সিআইডি পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত।
(১) মিজানুর রহমান(৫২) পিতা হযরত আলি সাং পিচকামতাল
(২) হযরত আলি (৭২) পিতা মৃত আঃ বারেক সাং পিচকামতাল
(৩) জামান মিয়া, পিতা মৃত সামসুদ্দিন সনদ নং ৭৩ তল্লাশি কারক, সদর রেকর্ড রুম।
(৪) নুরে আলম, নকল নবিশ,নকল কারক, সদর রেকর্ড রুম।নারায়ণগঞ্জ
(৫) ঝর্না, নকল নবিশ, নকলের পাঠক, সদর রেকর্ড রুম, নারায়ণগঞ্জ। আজ আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।