সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতার পিতা আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনকে নিয়ে সভা করেছেন বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা রেজাউল করিম। বিগত ১০টি বছর জাতীয় পার্টির তৎকালীন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে রাজনীতি করেছিল মোক্তার হোসেন।
জানা গেছে, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের প্রেমের বাজার এলাকায় গত ১ অক্টোবর শুক্রবার সংস্কারপন্থী বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম বিএনপির ব্যানারে এক সভা করেন। সেখানে তার পাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র হত্যা মামলার আসামী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জসীম উদ্দিন এবং সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেনকে পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংস্কার পন্থী বিএনপির নেতা রেজাউল করিম সোনারগাঁয়ে একজন বিতর্কিত নেতা। তিনি একজন সুবিধাবাদী। ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে এখন সুযোগ বুঝে আবার সে বিএনপিতে উঁকি দিচ্ছে। নেতা র্মীরা তাকে সোনারগাঁয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। এখন তিনি লোক দেখানো সভা করছে। তার সঙ্গে বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীরা নাই। তার আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি সহ বিতর্কিত নেতাকর্মীর পদচারণা রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার সনমান্দীর একটি অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে ও তার পাশে বসিয়ে রেখেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্র হত্যা মামলার আসামী জসীম উদ্দিন ও মোক্তার হোসেনকে। নেতাকর্মীরা বলছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে বলতে চাই এই অবাঞ্চিত নেতার যেকোনো অনুষ্ঠানকে প্রতিহত করা হবে এবং যদি সে পরবর্তীতে কোনো বিতর্কিত নেতাকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে। তাহলে তাদেরকে আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা কঠোর হস্তে দমন করবো।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সনমান্দী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন সোনারগাঁ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বিগত বছরে স্বৈরাচারী সরকার আ’লীগের প্রভাব বিস্তার করে সনমান্দি ইউনিয়নে বাবা-ছেলে মিলে বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে।