নদী দখলমুক্ত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ : এম সাখাওয়াত

ডেস্ক রিপোর্ট

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নদী দখলমুক্ত হবে। এখানে সুন্দর ওয়াকওয়ে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো এখানে চুরি-চামারি হয়েছে কিনা ? হয়ে থাকলে হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা আমাদের কাজ। নদী পথে বেশি কিছু অনিয়ম ছিল। এগুলো আমরা ধীরে ধীরে দূর করার চেষ্টা করছি। এছাড়া নদীর দখলমুক্ত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

৪ নভেম্বর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নৌবাহিনীর ডক ইয়ার্ড ওয়ার্কশপ সাইট ও ডিইপিটিসিতে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে মিটিং করে পাটের বস্তা পুন:প্রবর্তন করার কথা বলেছি। আস্তে আস্তে সেটাও হবে। এতে প্রান্তিক চাষিরা সুফল পাবে। আশা করি, আগামীতে পাটের দাম বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় পাটের ঐতিহ্য ছিল নারায়ণগঞ্জে। সেই ঐতিহ্যকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে এটাকে জিআই ভুক্ত করার জন্য বলেছি। তবে কেউ যদি মনে করে, দুমাসের মধ্যে সবকিছু আলাদিনের চেরাগের মত চকচক করবে, সেটা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি সেক্টরে অনেকগুলো জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। জঞ্জাল ছুটাতে ছুটাতে এই কদিন গেল। এখনো পুরোপুরি ছুটেছে বলে আমি মনে করিনা। তবে আমি আশাবাদী আমার মন্ত্রণালয়ে ভালো কিছু হবে।

তিনি বলেন, এখন ৪টি সি-ট্রাক তৈরির কাজ চলছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সরকারি কোনো কিছু চলতে দেয়নি। প্রাইভেট সিপোর্ট চালিয়েছে। তখন মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। বেশি টাকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে হতো। আমার এখন চেষ্টা করছি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হলো সন্দীপ, এটার সাথে যোগাযোগ রাখতে। আমাদের লক্ষ্য সন্দীপের সাথে যোগাযোগ জেটি করা। ডিসেম্বরে শেষে বা জানুয়ারির শুরু দিকে এই ফেরিগুলো নামবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাসিস্টেন্ট চিফ অফ নেভাল স্টাফ এর রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আকতার হোসাইন, নৌ-পরিবহনের মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, উপসচিব কাজী আরিফ বিল্লাহ, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার বণিক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, পরিচালক (অর্থ) ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী, পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামান, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ-নিট্রা) মো. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) এ কে এম আরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বৃত্তাকার নৌ-পথের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ কবির সহ প্রমুখ।