সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিগত সাড়ে ১৫ বছর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যোগ্য অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যেসব নেতাকর্মী হামলা মামলা জেল জুলুম হুলিয়া গুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সেইসব নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন মান্নান। সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর যখন নিজেদের পিঠ বাঁচাতে নেতাকর্মীদের ফেলে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন তখন কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের বুকে আগলে রেখেছেন মান্নান। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিজেও হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েও নেতাকর্মীদের ফেলে আয়েশী জীবনে যাননি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েও আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির এমপিদের সঙ্গে আতাত না করায় ৪ বছরের বেশি সময় ছিলেন বরখাস্ত। চেয়ারম্যানী দায়িত্ব পালনের চেয়ে দেশ ও দেশের মানুষ বাঁচাতে, গণতন্ত্র মুক্তির লড়াইয়ে রাজপথে ছিলেন অগ্রগামী মান্নান।এখন বিএনপির সু-সময় তাই বহু কোকিল সোনারগাঁয়ের আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে। আধ-মরা মানুষও বিছানা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে এমপি মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কেউ কেউ দেখাচ্ছেন। সুবিধাভোগী অতিউৎসাহী এক শ্রেণির বিএনপিরই নেতাকর্মীরাও বয়স্ক মানুষকে নিয়ে বয়স্ক মানুষের কাঁধে ভর করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। যে রাজনীতির কোন কুলকিনারা নাই। কিন্তু সোনারগাঁয়ের রাজপথের ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীরা মান্নানের সঙ্গে বেঈমানী করবেনা।
ত্যাগী নেতাকর্মীরা মনে করেন- বিএনপি যেমন আগামী নির্বাচনে মান্নানকে বঞ্চিত করবে না, যদি বঞ্চিত করে তাহলে সেটা হবে বেঈমানী। ঠিক তেমনি ত্যাগী নেতাকর্মীরাও মান্নানের সঙ্গে বেঈমানী করবে না। মান্নান যেমন দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন ঝাণ্ডাহাতে, ঠিক তেমনি সামনের নির্বাচনে জানপ্রাণ দিয়ে মান্নানের হাতে তুলে দিতে চান ধানের শীষ প্রতীকের ঝাণ্ডা। নেতাকর্মীরাও বিশ্বাস করেন- বিএনপি মান্নানের ত্যাগের মুল্যায়ণ করবে। সেই মুল্যায়ন সোনারগাঁয়ের রাজপথের ত্যাগী নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মীরাও ছিনিয়ে আনতে বধ্যপরিকর। কিছু বিপদগামী ও দলছুট নেতাকর্মী আওয়ামীঘেষা জাতীয়পার্টিঘেষা লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে বার্ধক্যজনিত রোগীকে নিয়ে অপরাজনীতিতে মেতে ওঠেছে সোনারগাঁয়ে। তারা মানতেই পারছেনা তাদের রাজনীতির জীবনের ইতি ঘটেছে। তাদের রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক অনেক আগেই ঠুকে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম হক রুমী বিভিন্ন কর্মসূচিতে ঘোষণা করেছেন তারা মান্নানের পাশেই আছেন এবং থাকবেন। মান্নানই হবে আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। সম্প্রতি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১১ দিন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে উপজেলা বিএনপি। সেইসব কর্মসূচিগুলোতে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা ও বিএনপি সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটাই দাবি তুলছেন মান্নানের বিকল্প সোনারগাঁয়ে কেউ নাই। মান্নানই হবে সামনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের কান্ডারী অর্থাৎ সোনারগাঁবাসীর মাটি ও মানুষের নেতা। মান্নানের পক্ষে এখনি একযোগে দাবি ওঠে গেছে। উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় রব ওঠেছে ‘মান্নান আসছে ধানের শীষ প্রতীকের কাণ্ডারী হয়ে’।
তবে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলছেন, বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। যাদের বিগত ১৭ বছর দলের কার্যক্রমে দেখা যায়নি তারা কোনো ষড়যন্ত্র করে মান্নানের মনোনয়ন ঠেকাতে পারবে না। কোনো অসুস্থ্য বয়:বৃদ্ধ বার্ধক্যজনিত রোগীর কাঁধে ভর করে ষড়যন্ত্র করলে সেই ষড়যন্ত্রে কোনো কাজ হবে না। এসব করে সোনারগাঁয়ের সাধারণ নেতাকর্মী সমর্থক ও জনতাকে বিভ্রান্ত করা যাবে মাত্র, তাদের ভাগ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানীও ঝুটবে না। শম্ভুপুরায় এক অনুষ্ঠানে রেজাউল করিমকে মোশারফ সাফ বলেছেন, রেজাউল করিম সু-সময়ের গুয়া শালিক, গুয়া শালিক কি খায় জানেন তো? গু খায়! তার ভাগ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানীও ঝুটবে না।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় পুলিশ যখন মান্নানের উপর হামলা চালাচ্ছিল তখন সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরাই মানবঢাল তৈরি করে মান্নানকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের পিঠে পুলিশের লাঠিপেটার আঘাত নিয়েছিল। সেটাই প্রমাণ করে মান্নানের জন্য জীবন দিতেও তার রাজপথের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকে। মান্নানের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন ১৭ বছর, তারা মান্নানের সঙ্গে বেঈমানী করবে না। সামনের নির্বাচনেও মান্নানের পাশেই থাকবেন তারা।