সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিতর্কিত সন্ত্রাসী বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ ও মাদক মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মাহামুদ দুলাল প্রধানের কিংশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় মহড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। মহানগর বিএনপির শীর্ষ এক নেতা এমন অভিযোগ তুলে বলেছেন, আশা বিতর্কিত সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং মাদক ব্যবসায়ী, আমলপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী সনি বাহিনীকে নিয়ে আদালতপাড়ায় মহড়া দিয়ে যাচ্ছেন।
মহানগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতা এমন অভিযোগ তুলে বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর কোথায় ছিল তাদের এমন শোডাউন আর মহড়া? ৫ আগস্টের পর তারা এমন মহড়া শোডাউন দিয়ে বিএনপিতে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। বিগত সাড়ে ১৫ বছর আবুল কাউসার আশা ও আতাউর রহমান মুকুল যদি স্বৈরাচারী আওয়ামালীগের বিরুদ্ধে এমন শোডাউন আর মহড়া দিতো তাহলে প্রশ্ন ওঠতো না। কিন্তু তারা তো অতীতে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সভা সমাবেশে গিয়ে শোডাউন মহড়া দিয়েছেন। তারা বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির লেজুরবৃত্তি করেছেন। তারা ভেবেছিল হয়তো বিএনপি কোনোদিন সুসময়ে ফিরবে না, তাদের আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টি চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যে কারনে তারা সেলিম ওসমানের সমাবেশে গিয়ে সেলিম ওসমানকে মঞ্চে ধরাধরি করে চাচা ভাতিজাকে তুলতে দেখা গেছে। মেয়র আইভীর পা ছুয়ে সালাম করেছিল আশা। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে মুকুল শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতো। আজকে তারা বিএনপির বড় নেতা সাজতে চায়। অতীতের বাপ দাদার নাম বিক্রি করে বিএনপি করতে চায়।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ১৩ নভেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন আবুল কাউসার আশা। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর দায়েরকৃত মামলায় আশা অনুগামী বেশকজন আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। কিন্তু চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলার শুনানি করেননি। ফলে মামলাটি পরবর্তীতে তারিখে শুনানি হবে। এদিন আমলাপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সনিকে মহড়া দিতে দেখা গেছে আশার হয়ে। এ ছাড়াও খান মাসুদ ও দুলাল প্রধান অনুগামী শাহিন আহমেদ সৌরভ, নূর হোসেন, রাজিবদেরও দেখা গেছে আদালতপাড়ায় মহড়া দিতে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দরে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এক সমাবেশে যাওয়ার পথে আশা ও মুকুল অনুগামীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হোন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। ওই ঘটনায় মুকুল ও আশাকে হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আসামী করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন টিপু। ওই মামলায় গত ৬ নভেম্বর আশা ও মুকুল সহ ৭জন আসামী জামিন পান। বাকি আসামীরা ১৩ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন। শুনানি হয়নি।