বিএনপির অপরপক্ষকে আশার হুংকার: আপনারা মনে রাইখেন আমিও শিকারী

ডেস্ক রিপোর্ট:

‘সোনাকান্দা মার্টিতে এসে দাড়িয়েছি কিছু করতে পারে করেন, সোজা হেটে যাবো। বিড়াল হয়ে যারা বাঘের মুখোশ পড়ে হাঁটছেন, আপনারা মনে রাইখেন আমিও শিকারী। এত সহজে ছাড় দেয়া হবে না। দাঁতভাঙ্গা জবাব নয়, হাতভাঙ্গা জবাব দিব।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মুলধারার একটি পক্ষকে ইঙ্গিত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা এসব কথা বলেছেন।

বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহমেদকে ইঙ্গিত করে আশা বলেছেন, আমরা এখন কি দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগে ফুল দিয়ে যোগদান করা অনেক লোক এখন নব্য বিএনপি লুটতরাজের আখড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি শাহেনশাহ আহমেদকে নব্য দরবেশ বাবা আখ্যায়িত করে বলেন, বন্দরের এই সোনাকান্দা এলাকায় এক নতুন দরবেশ বাবার আবির্ভাব হয়েছে। প্রথম ছিলেন জুতা চোর পরে হয়েছেন গরু চোর, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বর্তমানে হয়েছেন লোহা চোর। বড় বড় কথা বলেন, সে চাইলে নাকি সব কিছু করতে পারে। সোনাকান্দা মার্টিতে এসে দাড়িয়েছি কিছু করতে পারে করেন, সোজা হেটে যাবো। বিড়াল হয়ে যারা বাঘের মুখোশ পড়ে হাঁটছেন, আপনারা মনে রাইখেন আমিও শিকারী। এত সহজে ছাড় দেয়া হবে না। দাঁতভাঙ্গা জবাব নয়, হাতভাঙ্গা জবাব দিব।

১৫ নভেম্বর শুক্রবার বন্দর নবীগঞ্জ লতিফ হাজী মোড় থেকে দড়ি সোনাকান্দা পর্যন্ত ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ব্যানারে বর্ণাঢ্য র‍্যালী শেষে তিনি একথা বলেন।

আশা আরও বলেন, কোন অন্যায়, কোন অত্যাচার, কোন জুলুম আমার কোন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন, ফ্যাসিবাদি সরকার আমলে যেভাবে দোসর হিসেবে চলেছেন এখন সেভাবে করছেন। ঘরে ঘরে মামলা দিচ্ছেন, আপনারা যদি না শোধরান শুধু দাতঁ ভাঙ্গা নয় হাত-পা ভাঙ্গা জবাব দিবো।

আমাদের পরিবার ও আমাদের বিরুদ্ধে আর কোন বাজে মন্তব্য আর কোন মামলা দিচ্ছেন, তাহলে আপনাকে দেখার আছে। রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা অনেক জুরুরী। রাজণীতিতে কোন মঞ্চ আছে, অশিক্ষিত মূর্খ’র মত কথা বলেন, আজকের মধ্যে এগুলো বন্ধ করেন। বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা মামলা দিয়ে যেভাবে আমাদের হয়রানী করেছে আপনারা সেভাবে করছে। পুলিশকে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে আমাদের সাথে লড়াই করতে চাচ্ছেন। ১৭ বছর লড়াই করেছি, প্রয়োজনে আরো ১৭ দিন লড়াই করবো।