ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সহ ১৪ দলের অনেক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকের নামে মামলা হয়েছে। আমি প্রশাসনকে বলি, যে মামলাগুলো হয়েছে সে মামলায় যদি কোন নির্দোষ ব্যক্তি থেকে থাকে সেটা আওয়ামী লীগ হোক কিংবা ১৪ দলের নেতা হোক, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। অন্যায় যে করে নাই তার বিরুদ্ধে কোন কিছু করা যাবে না। অন্যায় যে করেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো চত্রির বিএনপি কোন দিন ছিলনা আগামীতেও হবে না। আমরা ভালো মানুষের মর্যাদা দিতে জানি। সেই মর্যাদা দিবো। সে আমার দলের বিরুদ্ধে হলেও আমার বিরুদ্ধে কথা বললেও সে যদি ভালো মানুষ হয় তাকে মর্যাদা দেবো সম্মান দেবো।
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গডফাদার ও তার দোসর যারা আছে তাদের রাজনীতি চিরদিনের মত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ষড়যন্ত্র করলে কারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে? আমরা বলিনা আওয়ামী লীগে কোন ভালো মানুষ নাই, ভালো মানুষ আছে। কিন্তু এই ভালো মানুষগুলো প্রমাণ করতে পারেন নাই তারা ভালো মানুষ। আপনাদের দল যখন অন্যায় অত্যাচার করে সেদিন হয়তো আপনারা অন্যায়ের সাথে শরীক ছিলেন না, কিন্তু সেদিন আপনারা প্রতিবাদ করতে পারেন নাই। অন্যায় যে করে ও অন্যায় যে সহে তারা দুজনে সমান দায়ী। আপনারাও দায়ী হয়ে গেছেন। সেদিন হয়তো ভয়ে, দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার ভয়ে প্রতিবাদ করেন নাই। আজকে বলতে চাই, স্বৈরাচারী শাসক ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা সব পালিয়েছে। আপনারা যারা ভালো আছেন নিজেদের ভালো মনে করেন, আপনারা কেন ওই সন্ত্রাসী অপরাধীদের দল থেকে বহিষ্কার করেন না। আপনারা বহিষ্কার করে প্রমাণ করেন আপনারা ভালো মানুষ। ভালো রাজনীতি আপনারা করতে চান।
২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজী, দখলদারিত্ব ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসনের কাছে আমার আহবান, নারায়ণগঞ্জে যতগুলো মামলা হয়েছে সেগুলোতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তির উপরে যেন কোন অন্যায় বিচার না করা হয়।
ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা নতুন করে ষড়যন্ত করছে। ওই দেশটিও লাভবান হতে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করছে। শৈশবে আমার পাশের বাড়িতে হিন্দুদের বসবাস ছিল। সেখানে হিন্দু মুসলিম আমরা এক সাথে বড় হয়েছি। ১৯৭১ সালে এক সাথে হিন্দু মুসলিম সহ সকলে মিলে একসাথে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশের মত সম্প্রীতির উদাহরণ কোথাও নেই। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা করছে। ইসকন দিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই সরকারকে বিব্রত করা। এই সরকারকে কিভাবে অযোগ্য প্রমাণিত করে সেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার আনতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করছে। সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। যাতে করে ষড়যন্ত্র করে দাঙ্গা ও বিবেধ সৃষ্টি করতে না পারে। ভারতের প্ররোচনায় হিন্দুরা যারা আছে তাদের অনুরোধ জানাবো, সুখে থাকতে ভুতে কিলায় একটা কথা আছে আপনারা সুখে আছেন ভুতে যেন কিলাতে না পারে। সেই ফাঁদে আপনারা পা দিবেন না। আপনাদের ধ্বংস করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালয়নায় আরও উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, নারয়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. মন্টু মেম্বার, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদা খাতুন মিতা প্রমুখ।