সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে আর কোনো সন্ত্রাসীদের গডফাদার দেখতে চান না বলে মত প্রকাশ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। তিনি এও বলেছেন, ৫ আগস্টের পর যারা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি দখলবাজি করেছেন তারা ছাড় পাবে না। সকল খবর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবগত আছেন।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে জনগণের জন্য কি করা হবে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় উল্লেখ রয়েছে। এসব দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না। দেশের সম্পদ লুটপাট করে কেউ বিদেশে পাচার করে বেগমপাড়া বানাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা চাইনা আর কোনো সন্ত্রাসীদের গডফাদার তৈরি হোক।
দেশব্যপী আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এতে জনস্রোতে রূপ নেয়।
নারায়ণগঞ্জ-৪ সৌভাগ্যের আসন উল্লেখ করে মামুন মাহমুদ বলেন, এ আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়, সে দলই ক্ষমতায় আসে। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। আগামী নির্বাচনে দল যদি এ আসনে আমাকে মনোনয়ন দেয়। আপনাদের দোয়া ও সমর্থনে আমি এ আসনটি তারেক রহমানকে উপর দিতে পারব ইনশাল্লাহ।
মামুন মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ব্যবসা বাণিজ্যের জায়গা। সরকার এ জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি টেক্স পায়। কিন্তু দেশের মানুষ ঘৃণা করে। কারণ, এ জেলায় গডফাদারের জন্ম হয়েছে। এ জেলায় এক সাথে ৭ ও ৫ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাই এ জেলায় আর যেন গডফাদার ফিরে আসতে না পারে। খুন খারাপির ঘটনা ঘটতে না পারে। সকল অন্যায় অপকর্ম প্রতিহত করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বিএনপিকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছি। বহু অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি। গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছি। তাই দল আমাদের মূল্যায়ন করেছে। আগামীতেও মূল্যায়ন করবে।
নাসিক ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ানের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল কবির মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান মিঠু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যু্গ্ম আহ্বায়ক ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মৃধা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সামছুদ্দিন প্রধান, ৭নং ওয়ার্ডবিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, থানা বিএনপির সদস্য রফিক দেওয়ান, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লেকু।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন, হারুর আর রশিদ মাস্টার, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মারুফ, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান খলিল শ্যামল, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শেফালী রানী, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জুয়েল রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সভাপতি শাহ আলম মাস্টার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ইভান ইমতিয়াজ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীদলের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ, ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা মজিবর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তরুণ দলের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহারাজ, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুম প্রধান, জেলা কৃষকদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন প্রধান, ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহমেদ রুবেল, ফজলু হক কন্ট্রাক্টর, নোমান ও শেখ মোহাম্মদ শিপুসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।