সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন মুসাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার বিরুদ্ধে ফসলি জমি দখলচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। চাঁদা না পাওয়ায় তারা মিয়া ও তার বাহিনীর হামলায় একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছেন। তারা মিয়া গত বছরের ৩ জুন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হোন।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জহিদ্দা বিলে ফসলি জমির মাটি কেটে ব্রিকফিল্ডে দিয়ে আসছিলেন একই এলাকার আমান উল্লাহ। ওই জমি দখলচেষ্টা ও মাটি কাটা বন্ধ করতে যান তারা মিয়া ও তার বাহিনী। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক মহিলা মেম্বারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, হযরত আলী মিয়ার ছেলে পাপ্পু (৩২), বিএনপির নেতা তারা মিয়া (৫২), বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ (৪০), সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও আমান উল্ল্যাহর স্ত্রী লাভলী বেগম (৩৬), আমান উল্ল্যাহর ছেলে সোহান (২১), বালিগাও এলাকার আদম আলী মিয়ার ছেলে আহাদ আলী (৫৫), বাঙ্গালবাড়ী এলাকার তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে বাহাউদ্দীন (৩৫) ।
আমান উল্লাহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জহিদ্দা বিলে ফসলি জমির মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্টের পর তারা মিয়া ও তার বাহিনী বাধা দিয়ে আসছিল। রবিবার সকালে আমান উল্ল্যাহ তার জমিতে সেচকাজ শুরু করলে পাপ্পু ও তারা মিয়াসহ কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। আমান উল্ল্যাহ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।
তারা মিয়া দাবি করেন, আমান উল্ল্যাহ ও তার সহযোগীরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে। রবিবার সকালে তিনি তাদের বাধা দিলে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সংঘর্ষে তিনি ও তার পক্ষের ৪-৫ জন আহত হন।
আমান উল্ল্যাহ বলেন, তারা মিয়া, পাপ্পু ও তাদের সহযোগীরা তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার স্ত্রী, ছেলে ও সহযোগীরা তাকে রক্ষা করতে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।