সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আইনাঙ্গনে আইনজীবীবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বিএনপি। গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯১জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর বিভাগ। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব নিয়েছে নতুন পরিষদ।
উপরোক্ত এসব আইন কর্মকর্তা এবং আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ও জামায়েত ইসলামীর পন্থী আইনজীবীগণ। দায়িত্ব পাওয়ার পর এসব কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জে আইনজীবীবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা সাধারণ আইনজীবীদের সহযোগীতা, বিভ্রান্ত ও হয়রানি রোধ এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। সাধারণ আইনজীবীদের প্রতি অহংকারী ধাম্ভিক আচরণ নয়, এখন পর্যন্ত নেতৃত্বে আসা আইনজীবী নেতা ও আইন কর্মকর্তাদের আচরণে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়নি। তারা পূর্বের মতই সকল শ্রেণির আইনজীবীদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করছেন।
জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই থেকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ আইনজীবী নেতারা কোর্টে আসছেন না। ১৩ আগস্ট তলবী সভা আহ্বান করে আইনজীবী সমিতি। তলবী সভায় নির্বাচন কমিশন গঠন, এডহক কমিটি গঠন, আপিল বোর্ড গঠন এবং পরবর্তী ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের ভোটের দিন নির্ধারিণ করা হয়। নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী না থাকায় বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সকল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হোন।
পরবর্তীতে সভাপতি পদে বিজয়ী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে ১৭ জনের পূর্ণ পরিষদ গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের ভেতরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে বড় নেতা বনে যাওয়ার মত ভাব জমে যাননি। এখন পর্যন্ত তারা সকল শ্রেণির আইনজীবীদের সঙ্গে সমান আচরণ করছেন এবং সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করছেন। তারা সাধারণ আইনজীবীদের মতই আচরণ করছেন। অহমিকা অহংকার ধাম্ভিকতা এখনো তাদের আচার আচরণে পরিলক্ষিত হয়নি। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান সকল আইনজীবীদের প্রয়োজনে এগিয়ে আসছেন। কারো সঙ্গে তিনি বিমাতাসুলভ আচরণ করেননি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে নেতার মতই আচরণ করছেন সরকার হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার প্রধান।
অন্যদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা এবং গভর্মেন্ট প্লিডার (জিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ সহ ৯১ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক আইনজীবী ফুলটাইম পেশাদার আইনজীবী। আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পাওয়ার আগেও তারা আইন পেশায় নিজেদের প্রচুর মামলা মোকদ্দমা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। কোর্টে তারা রাষ্ট্রের পক্ষেই সচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে আইন পেশা পরিচালনা করতে বদ্যপরিকর। দায়িত্ব পাওয়ার পর আইন কর্মকর্তাগণও নিয়ম নীতি আদর্শ মেনে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছেন।