রূপগঞ্জে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সভা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করা হয় ।

প্রথমে শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্ত্বর থেকে বের করে মুড়াপাড়া বাজার, সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ ও মঠের ঘাট হয়ে পুনরায় উপজেলা চত্ত্বর এসে শেষ হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম।

সভায় বক্তব্য রাখেন, পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) উবায়দুর রহমান সাহেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাদা ভুইয়া, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া প্রমূখ।

১৯৭১ সালের এই দিনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনতার প্রতিরোধের মুখে হায়ানার দল রূপগঞ্জ ছেড়ে কুমিল্লা ও ঢাকার অভিমুখে পালিয়ে যায়। হানাদার মুক্ত হয় রূপগঞ্জ। তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জব্বার খাঁন পিনু গ্রুপ বিজয় পতাকা উত্তোলন করে। রূপগঞ্জে ৯ মাসের যুদ্ধে ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন।

১৯৭১ সালে রূপগঞ্জের ভোলাবো, ধামছির শালবন, ইউসুফগঞ্জ, কামসাইর, মাঝিনা, জাঙ্গীর, রূপগঞ্জ, পিতগঞ্জ, শিমুলিয়া, গোলাকান্দাইল, আলমপুর, হোরগাঁও হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়ারণ্য। ঢাকা-নরসিংদী সড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা আউখাবো ব্রিজে আক্রমণ, মুড়াপাড়াস্থ গাউসিয়া জুট মিলের সেনা ক্যাম্পে মোটর হামলা, জাঙ্গীর চরে বাঙ্কারে অ্যাম্বুস করে হানাদার বাহিনীর শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলকারী লঞ্চ ও গানবোটে আক্রমণ, ইউসুফগঞ্জে হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমণ, রূপগঞ্জ ও বড়ালু চরে হানাদার বাহিনীর নৌযানে আক্রমণ ছিলো রূপগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধের উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা।