জাতীয়পার্টির লোকজন নিয়ে যুবদল কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিল রেজাউলপন্থীরা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

জাতীয়পার্টির লোকজন নিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের রতন নামে এক যুবদল কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর অনুসারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে ইয়াসিন নোবেল ও জাতীয়পার্টির নেতা ফারুক আহমেদ তপনের নেতৃত্বে হামলাকারীরা রিপনের বাম পায়ের দুটি রেগে কেটে দিয়েছেন।

একই সঙ্গে আহত রতনের ডান হাতেও মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় যুবদল নেতা রতনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এ রিপোর্ট লেখার সময় রতনকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে বলে জানান নেতারা।

গুরুত্বর জখম যুবদল নেতা রতন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপুর ভাগিনা।

ঘটনা সুত্রে জানাগেছে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত বিজয় র‌্যালী সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জমায়েত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিজয় র‌্যালী করে ‍উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা বিএনপি। বিজয় র‌্যালী ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শেষে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বের হওয়ার পথে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির লোকজন নিয়ে নেতাকর্মীদের ‍উপর হামলা চালায় জাতীয় পার্টির নেতা ফারুক আহমেদ তপন ও যুবদল নেতা নূরে ইয়াসিন নোবেল। এ সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার নেতৃত্ব জাতীয় পার্টির লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হোন।

এরি মাঝে উপজেলা ও হাসপাতালের সড়ক দিয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের ছবি সম্বলিত যুবদলের লোগোতে টি-শার্ট পরিহিত যুবদল কর্মী রতনকে রিক্সাযোগে আসতে দেখে অতর্কিত হামলা চালায় রেজাউল, সিরাজুল ইসলাম ও তপনের লোকজন। হামলায় রিপন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রতনের বাম পায়ের রগ কেটে দেয় জাতীয়পার্টি নেতা সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ফারুক আহমেদ তপনের লোকজন। ডান হাতেও ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তারা রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরের পক্ষ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর এই হামলায় অংশগ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

যদিও এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে সকাল ১০টায় সময় দিয়েছিল শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। কিন্তু তারা ১১টা বেজে গেলেও সেখানে থেকে যায়। রেজাউল করিমকে নিয়ে আমরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গেলে মান্নানের লোকজন আমাদের ‍নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, সোনারগাঁয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনীতিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টাস্বরূপ রেজাউল করিম আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির লোকজনের উপর ভর করেছে। সে বিজয় দিবসে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেশকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।