বিএনপির সংস্কারপন্থীদের উস্কানীতে মান্নানের বিরুদ্ধে মহিলালীগ নেত্রীর মিথ্যাচার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আওয়ামীলীগ সরকার আমলের সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। হামলা মামলা জেল জুলুমের নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন মান্নান। কিন্তু ৫ আগস্টের বিএনপির সংস্কারপন্থীরা সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে মাঠে নেমেছেন। মাঠে নেমেই রাজপথের ত্যাগী নেতা মান্নানকে কোনঠাসা করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন সংস্কারপন্থীরা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মান্নানের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছেন একজন বিতর্কিত মহিলা লীগ নেত্রীকে। সংস্কারপন্থীদের উস্কানীতে মান্নানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছেন ওই নারী।

৫ জানুয়ারী রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি ৪তলা ভবন দখলের অভিযোগ করেছে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মমতাজ বেগম। লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ মেম্বার দাবি করেন, তিনি তার জমিতে ৪তলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সকারের পতনের পর আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ ও বাবুসহ অন্যান্যরা গিয়ে তার বাড়ি দখল করে নেয়।

এদিকে জানাগেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আজহারুল ইসলাম মান্নানের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এলাকায় দূর্ধর্ষ নারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা মহিলা লীগ নেত্রী মমতাজ মেম্বার। মান্নান ও তার আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে একের পর এক মামলা হামলা করে দূরে রাখা হয়। মান্নানের জায়গায় জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করে মমতাজ বেগম বসবাস করে আসছিল। আদালতে এ নিয়ে মান্নান মামলা করলে সেখানে মামলায় মান্নান জয়ী হোন এবং পরবর্তীতে আপিলেও মান্নান জমির মালিকানা ফিরে পান। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে জায়গা ছাড়তে চাননি মমতাজ বেগম। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাই মান্নানের জমি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেন।

কিন্তু এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় নেমেছেন বিএনপির দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী সংস্কারপন্থীরা। তারা মান্নানকে বিতর্কিত করতে অপচেষ্টায় নেমেছেন। সেই লক্ষ্যেই প্রথমে থানা পুলিশ ও পরবর্তীতে সেনা ক্যাম্পেও মহিলাকে পাঠায় সংস্কারপন্থীরা। সেখানে যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করেন মান্নান। মান্নানের কাগজপত্র বৈধ থাকায় প্রশাসন এ নিযে বাড়াবাড়ি করেনি। কিন্তু এরপরেও থেমে নেই সংস্কারপন্থীরা। তারা ওই মহিলা লীগ নেত্রীকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন মান্নানের বিরুদ্ধে।

তবে এ বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সরাসরি সরল উক্তি যে, এটি মুলত আমাদের জায়গা ছিলো। এই মহিলা ও তার স্বামী মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এটা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলো। আমরা বিভিন্ন হামলা মামলার কারণে আমাদের জমিতে যেতে পারি নাই। আমরা আমাদের জায়গা পুনরুদ্ধার করার পর দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি, জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রমানাদিও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। একই জিনিস আমরা ডিসি সাহেবকেও দিয়েছি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও দিয়েছি। আমরা আমাদের জমি পুনরুদ্ধার করেছি, কারো জমি দখল করিনি।