ডেস্ক রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় তারেক রহমানের পক্ষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপি দেশের মানুষের পাশে থাকে, আর আওয়ামী লীগ বিপদ দেখলেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।”
১২ জানুয়ারী রবিবার বিকেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের স্বার্থে অত্যাচার ও মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করেছে এবং দেশের মানুষের পাশে ছিল।
অধ্যাপক মামুন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে প্রতিটি এলাকায় গডফাদার তৈরি করেছে। তারা রক্ষকের ভূমিকা নিয়ে জনগণের সম্পদ লুট করেছে এবং ভোটাধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় দেখিয়ে কথা বলার সাহসটুকুও কেড়ে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারা মুক্তিযোদ্ধা নয়; তারা ভারতের হোটেলে বসে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হলো বিএনপির রণাঙ্গনের যোদ্ধারা। দেশের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা এবং দেশপ্রেম শুধু রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেই থাকতে পারে।”
অধ্যাপক মামুন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, “আওয়ামী লীগ নেত্রী জনরোষের ভয়ে পালিয়েছে, আর বিএনপি নেত্রী লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে চিকিৎসার জন্য সম্মানের সঙ্গে বিদেশ গেছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ তিনটি নির্বাচনে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রকে দখল করে ব্যাংক লুটসহ চুরি-ডাকাতি করেছে। দেশের মানুষের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।
বিএনপিতে সুবিধাবাদীদের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা লুটপাট ও ভূমিদস্যুতার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ঠাঁই হবে না। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের মাধ্যমে দেশের সেবা করবে।”
অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।