সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এবং সাহসিকতার কর্মকান্ড না ঘটলে আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে বুকে একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে স্থান করে নিতে পারতো না বলে আমার মনে হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও কর্মকাণ্ডকে যদি আমরা বুকে ধারণ এবং লালন করতে পারি তাহলে জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনের ভিতরে যে স্থান করে নিয়েছে এটাকে আমরা আরো ত্বরান্বিত করতে পারব।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের মনের ভিতরে স্থান করে নিয়েছেন, কিভাবে? অনেকগুলো কারণ রয়েছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে নিজেকে তার কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। বাংলাদেশে অবৈধ সরকার ছিল। স্বৈরাচারী শাসক সরকার ছিল। তারা কখনো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সততাকে নিয়ে একটি প্রশ্ন তুলতে পারেনি। বাংলাদেশে যে কলুষিত হওয়ার রাজনীতি কারণ হলো মানুষ সৎ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই। আমরা যদি যার যার স্থান থেকে সততা ও আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতন প্রত্যেকটা নেতাকে তাদের বুকে টেনে নিবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
১৯ জানুয়ারী রবিবার বিকেল তিনটায় নগরীর মিশনপাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আজকে যে আমাদের সামনে অনেকে বসে আছেন যে আমরা অনেকে কম্বল বিতরন করব এটাও কিন্তু রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি দর্শন। তার জন্য কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি স্লোগান রেখেছেন সবার আগে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের যে কোন প্রয়োজনে জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী তাদের পাশে থাকবে। একটি কথা বলতে চাই আমরা যারা রাজনীতিক কর্মী আমাদের মধ্যে সবার যেন একটি আন্তরিকতার বন্ধন থাকে। আমরা পাশাপাশি চেয়ারে বসেও কেউ যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হই। রাজনীতিক যে উদারতা মানসিকতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান করে গেছেন। কিন্তু আজকে যে অবস্থা মুখে একটা অন্তরা আর একটা এসব থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য তাকিয়ে আছে। সেটাকে আমরা আরো ত্বরান্বিত করতে পারি সেটা হলো মানুষকে সাথে উদারতা ও ক্ষমাশীল হতে হবে। একই নেতাকর্মী একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাতে পারি তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির প্রতি যে আস্থা রয়েছে সেটা আমরা অর্জন করতে পারব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ তপন, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর মহিলা দলের আহ্বায়ক দিলারা মাসুদ ময়নাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।