সাখাওয়াতে ধরাশয়ী তৈমূর ও এটিএম কামাল!

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে দিনকে দিন বিএনপির প্রভাবশালীদের প্রভাব দিন দিন কমেই যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নিয়মিত কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নিয়ন্ত্রনে নিতে চলেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এবার সেই সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছে ধরাশয়ী খেলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, গত ১৪ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা করা হয়। এতে ছিটকে পড়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার অনুগামী জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান। তাকে বর্তমান কমিটিতে সদস্য পদে রাখায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেছেন। একইভাবে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হয়েছে মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামালের অনুগামী শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনকে। তবে ইমন এ পদে অসন্তোষ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন।

জানাগেছে, গত মঙ্গলবার সাখাওয়াত হোসেন খানের ঘনিষ্ঠজন অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে আহবায়ক ও আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। জেলা মৎস্যজীবী দলের এই আহ্বায়ক কমিটি থেকে গিয়াসউদ্দীন প্রধান ও শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন পদত্যাগ করায় সেই পদে নতুন করে সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুগামী কর্মীদের রেখে কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন আনোয়ার প্রধান।

এ ছাড়াও তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ভাগিনা মাহাবুব রহমান ছিলেন আগের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক। এবার তার এই কমিটিতে কোন পদই মিলেনি। ফলে এখানেও তৈমূর আলম খন্দকার রাজনৈতিকভাবে সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছে পিছিয়ে গেলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর এটিএম কামাল এমনিতেই ওয়ান ম্যান শো নেতা। তার নিজস্ব কোন কর্মী বলয় নেই। দু চারজন থাকলেও তাদেরই একজন শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। আর সেই ইমন মৎস্যজীবী দলের কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন। তবে সাংগঠনিকভাবে এটিএম কামালের চেয়ে অনেক আগেই এগিয়ে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তার মধ্যে এটিএম কামাল এখন আমেরিকা টু বাংলাদেশ আসা যাওয়ার মধ্যে থাকায় তিনি আগের মত রাজনীতিতে সেইভাবে এখন নেই। ফলে মহানগরীর রাজনীতি ধীরে ধীরে সাখাওয়াতের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন নেতাকর্মীরা।