মাছে ভাতে আমরা বাঙালি। দিনের পর দিন এই নদী-নালা-খাল-বিল মিল ফ্যাক্টরির বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ও বিষাক্ত ক্যামিক্যাল নিষ্কাশনের কারণে, দেশীয় মাছ বর্তমানে বিলুপ্তের পথে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার যেন দ্রুত নদী সংস্কার জরুরী ভিত্তিতে গ্রহণ করেন, যেন দেশীয় মাছগুলো বেচেঁ যায়। আগামী প্রজন্ম এই মাছের স্বাদ যেন উপভোগ করতে পারে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমরা দেশবাসী মনে করি। হাজার হাজার জেলেদের কর্মসংস্থান যেন ব্যবস্থা হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এই অন্তবর্তী সরকারকে আসুন আমরা সবাই সহযোগিতা করি।
বর্তমানে এই সোনার বাংলাদেশ হতে বড় বড় রাঘববোয়াল ক্রিমিনালদেরকে ছাত্রজনতা ও সকল পেশাজীবী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। কিন্তু আরও ক্রিমিনাল ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে আছে, এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সবাই যৌথ বাহিনীকে সহযোগীতা করুন। অন্তর্বর্তী সরকার এর নিকট কোনো দাবি আদায় করার জন্য রাজপথ দখল করবেন না। ১৭ বৎসর অপেক্ষা করেছেন আরও কিছু দিন অপেক্ষা করুন। নির্বাচিত সরকার এর কাছে যার যে দাবি দাওয়া পেশ করবেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যে নির্বাচনগুলি হয়েছে সেইখানে অস্ত্রের মহড়া পত্রিকার পাতায় দেশবাসী দেখেছে। কোনো কথা বলার সাহস করে কোনো প্রতিবাদ করতে পারে নাই দেশবাসী। সেই অস্ত্র সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে উদ্ধার করতে হবে। ঐ সকল ক্রিমিনালদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা মাদক বিক্রেতা তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশ হতে শহর- বন্দর, পাড়া ও মহল্লা থেকে বড় ভাই সহ কিশোরগ্যাংদেরকে সুষ্ঠ নির্বাচন এর স্বার্থে গ্রেপ্তার করতে হবে। ছিনতাই, রাহাজানি ও ডাকাতদেরকে সুষ্ঠ নির্বাচন এর স্বার্থে গ্রেপ্তার করতে হবে। ছ্যাচড়া ঘুষখোর এবং ছোট বড় চাদাঁবাজ এদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। সকল সরকারি অফিস আদালতে সৎ অফিসার গোয়েন্দা নিয়োগ দিতে হবে।
যেকোনো দ্বন্দে অস্ত্রের মহড়া ও গোলাগুলি হলে সরকার বাদী হয়ে মামলা করতে হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যারা দুর্নীতি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে সেই টাকা উদ্ধার করে গরীব দুঃখীর মাঝে অর্ধেক মুল্যে চাল-ডাল-তৈল বিতরণ করতে হবে। তরুণদের ও ছাত্রজনতার রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আমরা যারা বেচেঁ আছি তাদেরকে স্মরণ করবো। দুর্নীতিবাজ রেখে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চেম্বার অব কমার্স এর সদস্যদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। সাবেক বিচারপতি সরকারি কর্মকর্তা ও আইনজীবী সমাজের সমাজ সেবক এদেরকে নমিনেশন দিতে হবে। যেকোন নেতানেত্রীর শোডাউনে মটর সাইকেল, বাস ট্রাক রাজপথ দখল করে ঐ শোডাউন বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের প্রচার হবে সীমিত আকারে, পোষ্টারের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। ভোটের দিন সমর্থনকারি ও ভোটাররা প্রার্থীর ব্যাজ ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাদেশ থেকে মশা মাছি চিরতরে দমন করতে হবে।
লেখক: কামাল খাঁন
রাজনীতিক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক