সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইছবগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের ইছবগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকার কৃঞ্চ চন্দ্র বাড়ৈ, সমির চন্দ্র, সাজু চন্দ্রের এর উপর দেশীয় ধারালো দা ছেনদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। একই এলাকার সন্ত্রাসী তপু দাস, বিজয় চন্দ্র দাস, মানিক চন্দ্র দাস, বন্যা রানী দাস, বেবী রানী দাস সহ আরো ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আহতদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট করে মালামাল নিয়ে যায়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধায় ইছবগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার কৃঞ্চ চন্দ্র অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর আমার ফার্নিচারের দোকানে এসে তপু দাস টুল বানিয়ে সেখানে বসে মাদক সেবন করার জন্য কাঠ চাইলে আমি না দিলে তার সাথে থাকা আরো ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল সংঘবদ্ধভাবে গালমন্দ করে পুর্বপরিকল্পিতভাবে আমার উপরে দা ছেনদা দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমার মাথায় কুপ দিয়ে জখম করলে সেখানে ১৫টি সেলাই লাগে।
তিনি আরো বলেন, আমার ডাক চিৎকার শুনে বড় ছেলে সমির ও ছোট ছেলে সাজু, আমার স্ত্রী ছুটে আসলে তাদের উপরে ও লাঠিসোঠা লোহার রড দিয়ে হামলা করে। এতে আমরা গুরুতর আহত হই এবং বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এতে স্বর্ণ সহ ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ও ফার্নিচারের ক্যাশে থাকা নদগ ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকার আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে, মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে তারা।
এ বিষয়ে মায়া রানী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করি আসামীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এ বিষয় সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বারী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।