সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, পুলিশ মাদক এবং সন্ত্রাসের ব্যাপারে কোন আপোষ করবে না। তিনি বলেন, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা কারো কাছে মাথা নত করবো না। এ এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। এজন্য সাংবাদিকদের আমরা সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাদের নিউজ দেবেন। আমরা চেষ্টা করবো তার সত্যতা যাচাই করে অভিযান চালাতে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের অসঙ্গতির কথা তুলে ধরবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, আমরা যদি একসাথে কাজ করি তাহলে শহরে অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর তার প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস পায়নি। তখন একমাত্র সাংবাদিকরাই বঙ্গবন্ধুর কথা তুলে ধরেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, এক সময় আমাদের কাছে দেশের সংবাদ জানার একমাত্র মাধ্যম ছিল সংবাদপত্র। এখন অনেক মাধ্যম হয়েছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন ও সোশাল মিডিয়া অনেক দুর এগিয়ে এসেছে। কিন্তু এসব মাধ্যম যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। আমরা যে বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করি না কেনো তার জন্য পড়াশোনা করতে হবে। জানতে হবে। যতবেশী সম্ভব অনুসন্ধানীমুলক নিউজ করতে হবে।
১৮ মে শনিবার সকালে বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিটিউটের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের (এনইউজে) আয়োজনে ৩দিন ব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই এসপি হারুন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তরুণ ও প্রবীণ মিলিয়ে ৪১জন সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন। পিআইবির মহাপরিচালক কবি ও গবেষক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- পিআইবির পরিচালন (প্রশাসন) জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাবেক সভাপতি রুমন রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফউদ্দিন সবুজ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি।
অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এ দেশের প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার ধারণায় যারা সাংবাদিকতা করেন তাদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকবান্ধব। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য ৪০কোটি টাকার একটি কল্যাণ তহবিল করে দিয়েছেন। এটিকে এক’শ কোটি টাকা করা হবে।
তিনি জানান, এখন থেকে চিকিৎসার পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষার জন্যও কল্যাণ তহবিল থেকে অনুদান দেয়া হবে।