অধরা সিদ্ধিরগঞ্জের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ!

সান নারায়ণগঞ্জ

ঘটনার ১০দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ্যে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ কিংবা যৌথ বাহিনী। নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে ঝুঁট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুইগ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একটি পক্ষের হয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শণ করে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে।

ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহাগ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ফুফাতো ভাই। তবে তিনি ঘটনার দুদিন পর সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছেন সোহাগ তার ভাই নন এবং তার পক্ষের কিংবা ছাত্রদলের কোনো কর্মীও নন। অস্ত্রধারী সোহাগ তৃতীয় কোনো পক্ষের হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।

ঘটনা সুত্রে জানাগেছে, গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি করা হয় ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। আদমজী ইপিজেডের পুরাতন থানার সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামের একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও রুহুল আমিন নামের এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরে রুহুল আমিনের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরে ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমানের সহযোগীদের মারধর ও ধারালো অস্ত্র গিয়ে কুপিয়ে আহত করে। ওই ঘটনার জেরে ওইদিন বিকেলে আদমজী ইপিজেডের পুরাতন থানার সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাকিবুর রহমান সাগর প্রথম আলোসহ সাংবাদিকদের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেছিলেন, ব্যবসা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে বিকেলে আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমানের অনুসারী রুহুল, সাজ্জাদ, পাকনা বাবুর নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। তাঁদের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের লোকজনের ওপর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।