সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
খুবই আশাহত হওয়ার কথা আতাউর রহমান মুকুলের ক্ষেত্রে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের দলের প্রতীক ধানের শীষের বিরুদ্ধে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছিলেন তিনি। আশা দেখেছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি দলের আস্কারায় আবারো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন তিনি। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠলো না।
এবার বিএনপির ঘরে ফিরতে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। যে মুকুল গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছিলেন সেই মুকুল এখন বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করবেন না। তবে এতদিন সরকার দলের হয়ে কাজ করলেও ভবিষৎের জন্য বিএনপির ছায়াতলে ঠাঁই নেয়ার সুযোগের অপেক্ষায় মুকুল।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আতাউর রহমান মুকুল লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী সভা সমাবেশে গিয়েছিলেন। ধানের শীষ প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কাজ করেছিলেন। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম অভিযোগ তুলেছিলেন মুকুল নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন সেই মুকুলের মুখে ভিন্ন সুর। এবার তিনি নিজের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে আসবেন বিএনপির ছায়াতলে। এমনটাই বলছেন নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, আগামী ১৮ জুন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ মিয়া। আরও দুজন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও তারা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে দুইদিন আগেও আতাউর রহমান মুুকুল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না সেটা অনেক আগের সিদ্ধান্ত। অনেকেই বলছেন- এমএ রশিদ মনোনয়ন না পেলে যদি একেএম আবু সুফিয়ান নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতেন তাহলে সেখানে আতাউর রহমান মুকুলকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতো। সুফিয়ান নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় মুকুল নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন বন্দরের লোকজন।
এ বিষয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের কারনে আমি নির্বাচন করব না। দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাবে না।’