সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আওয়ামীলীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এই সরকার বিনা ভোটের সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে পুলিশের মাধ্যমে, প্রশাসনের মাধ্যমে। জনগণের সঙ্গে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ধোকা দিয়ে ওরা ২৯ ডিসেম্বর রাতেই প্রশাসনের ক্রু এর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার জনগণের কোন সরকার নয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, এদেশে আজকে গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই, ভোটের অধিকার নাই। মানুষের জীবনের অধিকার নাই। খুন গুম ধর্ষণ আজকে নিত্যদিনের ঘটনা।
২৮ মে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হোসিয়ারী শ্রমিকদলের উদ্যোগে আয়োজিত জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ও কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা এবং মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
তিনি আরও বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য দেশের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি এদেশে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিত। আদালতের উপর বন্দুক রেখে আজকে মিথ্যা সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। যদি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে ঈদের পরে এদেশের মানুষকে নিয়ে, কৃষকদল,শ্রমিকদল সহ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এদেশে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে, এদেশে কৃষকের অধিকার ফিরে আসবে। ধানের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করতে এদেশে আন্দোলন প্রয়োজন আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। সেজন্যই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই সরকার তাকে জেলখানায় রেখেছে। তাই বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য, তার সু-স্বাস্থ্যের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আগামীতে আমরা সবাই আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বো।
তিনি বলেন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব এবং এদেশে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তখনি দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের এই আইনজীবী নেতা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজকের এই আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ যিনি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ৭৫ সাল থেকে দেশের প্রতিটি দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি যদি বাস্তবায়িত হতো তাহলে আজকে কৃষকদের ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে মরতে হতো না। খাল খনন কর্মসূচি যদি চালু থাকতো তাহলে দেশ মরুভুমিতে পরিনত হতো না।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আজকের এই সভা থেকে কৃষকের ধানের ন্যায্য মুল্য নির্ধারণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হোসিয়ারী শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, বিএনপির প্রবীণ নেতা জামাল উদ্দীন কালু, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, এমএইচ মামুন, জেলা বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন মোল্লা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি স্বপন চৌধুরী, শাহিন আহমেদ, পারভেজ মল্লিক, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন প্রমূখ।