সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ফলে আবারো নারায়ণগঞ্জ জেলার থানা পর্যায়ের নেতাদের স্বপ্ন আটকে গেল। সহসাই হচ্ছেনা নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যান্য থানা পৌরসভা কমিটিগুলো। কারন সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত থাকলে অন্যান্য কমিটিগুলো তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেনা। তবে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মুল দলের অনুমতিস্বাপেক্ষে সেটা করা যাবে। ফলে নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য থানা কমিটিগুলো গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আবারো নিরাশায় পড়েছে দীর্ঘদিন পদবিহীন রাজনীতি করে আসা ছাত্রদলের নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর তার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে ছাত্রদলের নেতারা বিভিন্ন মাধ্যমে লবিং করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি আলোচনা আসে জেলার অন্যান্য থানা কমিটিগুলো গঠন নিয়ে। যার মধ্যে প্রায় শেষের দিকেই ছিল ফতুল্লা, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। কেউ কেউ বলেছিলেন ঘোষণাটাই বাকি ছিল। কমিটিতে জায়গা করে নিতে মাঠে নেমেছিলেন আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের বেশকজন ছাত্রদল নেতা। কিন্তু আবারো আশার আলো নিভে যেতে বসেছে থানা পর্যায়ের নেতাদের কমিটিতে পদ পাওয়ার স্বপ্নও।
জানাগেছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় সংসদ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠন করা হবে। গত ৫ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিম্নরুপ:
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য হতে হবে। অবশ্যই বাংলাদেশে অবস্থিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে এবং কেবলমাত্র ২০০০ সাল থেকে পরবর্তীতে যেকোনো বছরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিলের তফসিল পরবর্তীতে জানানো হবে।
২০১৪ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে রাজিব আহসান সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সম্পাদক করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।
সভাপতি রাজীব আহসান আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। আকরামুল হাসান আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবং একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন- মামুনুর রশীদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হিমেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
এখানে আরও উল্লেখ্যযে, ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলকে সভাপতি এবং হাবিবুর রশীদ হাবিবকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দুই বছর পর সেই কমিটি ভেঙে দেয়া হলো।