সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। তবে এই ভোট গ্রহণের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এমএ রশিদ। তিনি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি। এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও এর আগে তিনি দুইবার ভোটের লড়াইয়ে নির্বাচন করে জয় তো দুরের কথা প্রতিদ্বন্ধিতা করার মত ভোটের লড়াইয়ের দ্বারে কাছেও যেতে পারেননি রশিদ। তবে তৃতীয় বারের মাথায় তিনি ভোট ছাড়াই অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন!
জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এখানে জাতীয়পার্টি বর্জনের ঘোষণা না দিলেও নারায়ণগঞ্জের কোথাও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয়পার্টির কোন প্রার্থী ছিল না। একইভাবে হলো বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও। এখানে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন লড়াইয়ে কেন্দ্রে তিন জনের নাম পাঠানো হয়। যার মধ্যে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান এমএ রশিদ। তার মনোনয়ন পত্রটি জমা দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। ওইদিন শামীম ওসমান বলেছিলেন, ‘এক বদমাইশের হাত থেকে বন্দরকে রক্ষা করতেই রশিদ ভাইকে সমর্থন করে তার জন্য নৌকা প্রতীকে এনেছি।’
এমএ রশিদ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। যার মধ্যে সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর বলয়ে রাজনীতি করেন। এমএ সালাম রাজনীতি করেন শামীম ওসমান বলয়েই।
নারায়ণগঞ্জ সদর আসনে মহাজোটের এমপি হিসেবে রয়েছেন শামীম ওসমানের বড় ভাই একেএম সেলিম ওসমান। তার পক্ষেই কাজ করে আসছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। এমএ রশিদ নৌকা প্রতীকের পাওয়ার আগের দিনও বিএনপি নেতা মুকুল বলেছিলেন নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি দাবি করেছেন বিএনপি যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছেন তাই নির্বাচন তিনি করবেন না। তবে তিনি বিএনপির নেতা হলেও গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। মহাজোটের প্রার্থীর লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছিলেন মুকুল। মুকুল নির্বাচন না করায় ভোট গ্রহণের আগেই বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এমএ রশিদ।