সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
পুলিশি নির্যাতনেই নারায়ণগঞ্জ মহিলা দলের নেত্রী বিনু আক্তারের করুণ মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এখানকার বিএনপি ও মহিলা দলের নেত্রীরা। তাদের অভিযোগে বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাগে জান্নাত মসজিদের পিছনে বিনু আক্তারকে বেদম মারধর করেছিল পুুলিশ। তারপর থেকে অপারেশন করানো হয়। কিন্তু তিনি আর সুস্থ্য হতে পারেননি। অবশেষে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এখানে উল্লেখ্যযে, এর আগে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন প্রধান।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলাদলের আহ্বায়ক রাশিদা জামাল ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা ১১ জুন মঙ্গলবার বিকেলে একটি যৌথ বিবৃতিতে এমনটা অভিযোগ তুলেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রয়াত নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক বিনু আক্তার ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাগে জান্নাত মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে সরকারের আজ্ঞাবহ কিছু পুলিশ সদস্যের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েও তিনি শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার এ অকাল মুত্যুর জন্য ওই সময়ের কর্মরত পুলিশ সদস্যরাই দায়ী। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ওই পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সদস্যরা মধ্যযুর্গীয় কায়দায় মহিলা দলের নেত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার বিবৃতিতে উল্লেখ্য করেন, ওই দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের আজ্ঞাবহ যে পুলিশ সদস্যরা মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিনু আক্তারের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল তারা খুনী পুলিশ। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশকে আজ পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করেছে। পুলিশকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে দিয়েছে। বিনুর উপর নির্যাতনকারী সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম উল্লেখ্য করেন, পুলিশের নির্যাতনের কারনে বিনু আক্তারের অকাল মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার দাবী করছি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের আহ্বায়ক রাশিদা জামাল বলেন, পুলিশের গুলিতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। মহিলা দলের নেত্রী বিনুকে পুলিশ হত্যা করেছে।
কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা যৌথ এ বিবৃতিতে উল্লেখ্য করেন, পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বিনু আক্তার দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আমি হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি।