সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২২নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে বিদ্যুৎের প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে বন্দর পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে গ্রাহকরা। ১৫ জুন শনিবার সকাল ১০টায় বন্দর শাহীমসজিদ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কক্ষে এসে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনদূর্ভোগের আরেক নাম প্রিপেইড মিনার। কোন রকম প্রস্তুতি কিংবা গ্রাহক অবহিতকরণ সেমিনার ও মতামত ছাড়াই প্রিপেইড মিনার স্থাপন মুটেই শুভকর নয়। ২২নং ওয়ার্ডবাসীর উপর জোর করে প্রিপেইড মিটার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা এ প্রিপেইড মিটার বর্জন করে পূর্বের মিটার অনুযায়ী বিল দিতে চাই। যেখানে জেলাগুলো এখনও তারা প্রিপেইড করতে পারছেনা সেখানে কেন মফস্বল এলাকায় প্রিপেইড মিটার চালু করছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
নাসিক ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে ৫’শ টাকা রিচার্জ করলে সঙ্গে সঙ্গে ১’শ ৪ টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে গ্রাহকদের। জনপ্রতিনিধি ও গ্রাহকদের মতামত না নিয়ে হটাৎ করে জোর করে প্রশাসন ব্যবহার করে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। বন্দর পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা সত্যিই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎের জিএম গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারী কাজে বাধা দিবেন না, স্বাগত জানাবেন। আমরা প্রতি মিটারের সংযোজনে সিকিউরিটি মানী রিচার্জের মাধ্যমে গ্রাহককে ফেরত দেয়া হবে। রেট পূর্বে যা ছিল তাই। ৫ পার্সেন্ট ভ্যাট। ডিমান্ড চার্জ প্রতি কিলো ওয়ার্ডের জন্য ২৫ টাকা, মাসে ৫বার রিচার্জ করলে ৫বার কাটা হবে না। মাসে একবার কাটবে। মিটার ভাড়া পূর্বে ১০টাকা ছিল এখন ৪০টাকা। এটা প্রযুক্তি ব্যবহারের কারনে। একবারই কাটবে। রিচার্জের জন্য রবি, ভিপি, বিকাশ, ইউকেশ সব কোম্পানী রিচার্জ করবে। তবে তারা ৪’শ টাকা পর্যন্ত ৫টাকা সার্ভিস চার্জ নিবে। আর ৪’শ টাকা থেকে ১৫’শ টাকার পর্যন্ত ১০টাকা। অফিসে রিচার্জ করলে আমরা কোন ফি নিব না। নগদে সেবা নগদ হতে হবে। সরকার প্রধাণ যেভাবে বিদ্যুৎ জনগণের কল্যাণের জন্য ভবিষ্যৎ উপযোগী করে তুলছেন তার একটাই উদ্দেশ্য স্বাশ্রয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা। সাশ্রয় করার জন্যই এ উদ্যোগ। সাশ্রয় মানেই উৎপাদন কম। উৎপাদন কম মানে জ্বালানী কম ব্যয় হবে। দেশের ভবিষ্যৎ সম্পদ আপনাদের জন্যই রক্ষিত থাকবে।
এ ব্যপারে বন্দর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আশরাফুল আলম খান বলেন, প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রিপেইড মিটার মানে আপনারা যতটুকু ব্যবহার করবেন ততটুকু বিল গুণবেন। এখানে প্রিপেইড মিটারকে ভিন্নভাবে দেখার কোন অবকাশ নেই। এতে করে আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে স্বাশ্রয়ী হবেন, অপচয় রোধ হবে, বাজেট অনুযায়ী ব্যবহার করবেন, ভূতুরে বিল হওয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্রাহকদের সহযোগীতা একমাত্র কাম্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, থানা পুুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ খান, ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন মসু, অ্যাডভোকেট তপন, শহিদ সোহরাওয়ার্দী ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইক আহমেদ ছিদ্দিকী বাবু, ব্যবসায়ী নুরে আলম, লাভলু ভূইয়া ও মোজাম্মেলসহ ২২নং ওয়ার্ডের শতাধিক গ্রাহকরা।