সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাবাগ থেকে চিনারদী রাস্তাটি এখন ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের মরণফাঁদ হয়ে দাড়িয়েছে। ২২ জুন শনিবার সকালে কলাবাগ থেকে চিনারদী রাস্তায় সরেজমিনে গিয়ে জনদূর্ভোগের এ চিত্রটি পরিলক্ষিত হয়।
দেখা যায় প্রায় ৩কিলোমিটার এ রাস্তাটিতে বছর খানেক পূর্বে নামকাওয়াস্তে সংস্কার কাজ করলেও ৬মাসের মধ্যেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়। ফলে ছোট ছোট বন্যার মতো দেখা যায়। রাস্তা ভঙ্গুর থাকার কারনে এ রাস্তা দিয়ে কোন ছোট যানবাহন যেতে চায়না। স্কুলগামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও নানা বেগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভাঙ্গা রাস্তাকে পুজি করে অফিস আদালতে যাওয়ার সময়ে সাধারণ যাত্রীদের কাছে যানবাহন চালকেরা বেশি ভাড়া হাকিয়ে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে সাধারন মানুষের বেশি বেশি ভাড়া গুণেই পথ চলতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বলেণ, অচিরেই বন্দর ইউনিয়নের ভঙ্গুর রাস্তাটি আমি নিজেই সংস্কারের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। দয়া করে আমি আমার ইউনিয়নবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলব আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরেন। আমি নিজেই মাঝে মাঝে এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করি। আমি আমার ইউনিয়নবাসীদের কষ্ট উপলদ্ধি করি। সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫দিনের মধ্যেই আমি কলাবাগ থেকে চীনারদি রাস্তাটি সংস্কার করব। তবে বড় একটি উন্নয়ণমুলক কাজ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
এ ব্যাপারে পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশকজন জানান, কলাবাগ টু চৌধুরীবাড়ী রাস্তাটিতে কোন মানুষ বসবাস করেনা। দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তি আর ভাল লাগেনা। যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন সময় সিএনজি কিংবা অটোরিক্সায় চড়া যাত্রীদের রাস্তার মাঝে বড় গর্তে পড়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনারও সৃষ্টি হয়। স্থানীয় মেম্বার ইউসুফ ও চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনকে একাধিকারবার অবগত করলেও কোন সুফল পাওয়া যায় নাই। নির্বাচনের সময় এলেই তারা লোক দেখানো সংস্কার কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকে। এমন জনপ্রতিনিধি থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, শুনেছি এমপি সেলিম ওসমান দানবীর মানুষের বিভিন্ন স্থানে তিনি সহযোগীতা হাত বাড়িয়ে থাকেন। বন্দর উপজেলার কলাবাগ টু চৌধুরী বাড়ীর ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে জনভোগান্তি থেকে পরিত্রান পেতে আমরা এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।