সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহরে রিক্সা চালকদের দিন দিন বখাটেপনা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের গেটের সামনে ও সরকারি মহিলা কলেজের গেটের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা রিক্সা থামিয়ে রিক্সায় বসে থাকলেও পুুরুষ যাত্রী নেয়না এসব বখাটে রিক্সা চালকেরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাইলেও কোন পুুরুষ যাত্রীকে বহন করতে রাজি হয়না এসব বখাটেরা। প্রতিনিয়তি গেটের সামনে রিক্সায় বসে কলেজ ছাত্রীদের করছে উত্ত্যক্ত। শুধুমাত্র ছাত্রীদেরই তারা যাত্রী হিসেবে বহন করে। গেটের সামনে দাড়িয়ে ছাত্রীদের দেখিয়ে করে নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। তাদেরই একজন রিক্সা চালক মাসুদ। এবার ধরা খেয়েছে ছাত্রীদের হাতে। কলেজ ছাত্রীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
জানাগেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচিত রিক্সা চালক বখাটে মাসুদকে তোলারাম কলেজের ছাত্রীরা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। ২৬ জুন বুধবার দুপুরে সরকারি তোলারাম কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে ধরে ছাত্রীরা পুলিশে সোপর্দ করে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের নলুয়াপাড়া এলাকার মো. নূর মোহাম্মদের বখাটে ছেলে মো. মাসুদ। সে একজন মাদকসেবী রিকশাচালক। নিতাইগঞ্জের তারা মিয়ার গ্যারেজ থেকে রিক্সা ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালায় বখাটে মাসুদ। সে তার রিক্সায় পুরুষ যাত্রীদের নেয়না। শুধু মেয়েদেরকে তার রিক্সায় উঠায়।
এই বখাটে মাসুদ প্রায়ই মেয়েদের রিক্সায় উঠিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বার্তা বলে এবং বাজে ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ভুক্তভোগী কয়েকজন মেয়ে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ও মেয়েদের সাবধানতা অবলম্বনের জন্য ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। বিষয়টি ফেসবুক ভাইরাল হয়ে পরে।
এ বিষয়ে তোলারাম কলেজের ছাত্রীরা জানায়, আজ শহরের জামতালা এলাকা থেকে তোলারাম কলেজের এক ছাত্রী মাসুদের রিক্সায় উঠে। এমন সময় ওই বখাটে মাসুদ তার সাথে খারাপ কথা বলে। রিক্সা নিয়ে তোলারাম কলেজের সামনে আসলে ছাত্রী রিক্সা নেমে কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ডাক দেয়। পরে সবাই মিলে তাকে আটক করে। আটক করে বখাটে তোলারাম কলেজের শিক্ষকদের জানালে তারা পুলিশকে ফোন দেয়। পরে পুলিশ এসে বখাটে মাসুদকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই মো. কাশেম বলেন, বখাটে মাসুদকে তোলারাম কলেজের ছাত্রীরা ধরে আমাদের ফোন দেয়। তখন আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।