সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুম শিকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আড়াইহাজার থানা যুবদলকে উপেক্ষা করে বিশেষ একটি মহল থানা যুবদলের ব্যানার ব্যবহার করে নৌ ভ্রমণের নামে আড়াইহাজার যুবদলকে ভাগ করা কতেটা যৌক্তিক তা একজন দলের নির্যাতিত কর্মী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাই।
তিনি সান নারায়ণগঞ্জকে আরও বলেন, যারা বলেন তৃনমুল ও যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ করতে এই নদী ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে তাহলে বর্তমান যুবদল কমিটিকে আড়াল করে তারা আপনাদের কি মেসেজ দিতে চাচ্ছে? এই ১০০ লোকের সবাই তো যুবদল করেনা। যারা মেহমান হয়ে জেলা যুবদল থেকে এখানে শরিক হয়েছেন তাদেরকে বিতর্কিত করার অপকৌশল এই নৌকা বিহার।
যুবদলের এই নেতা আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় অনেককে অত্যন্ত সু-কৌশলে দাওয়াত করে সেই ভ্রমণে নেওয়া হইছে। তারা তাও বুঝতে পারেনি এখানে বর্তমান যুবদলকে উপেক্ষা করা হয়েছে। আপনারা যদি প্রমাণ চান তবে আমার অনুষ্ঠানেও সেই দাওয়াতি ব্যক্তিদের অনেককেই আপনাদের দেখাতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিতে পদ-পদবীর জন্য লবিং করতে পারি, তবে স্ট্যান্ডবাজি করতে পারিনা। দলের কাজ করতে পদ-পদবীর আর প্রয়োজন নেই, দলীয় পদবী ছাড়াই দলের কাজ করতে ইনশাআল্লাহ সক্ষম। আমার রাজনৈতিক ব্যর্থতা সেখানেই রাজনীতির নামে অপকৌশল জানিনা। ৬ বার জেল খেটেও পত্রিকার শিরোনাম হতে পারিনা। এক টানা দীর্ঘ ৪ মাস জেল খেটেও গলায় ফুলের মালা জোটেনা এবং কৌশলে প্রতিপক্ষের সাথে আতাত করে বিএনপির রাজনীতি করিনা।
তিনি বলেন, আজ প্রথম কিছু ব্যক্তির এই হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। তারা কাদের থানা যুবদল বুঝাতে চাচ্ছে? নৌ ভ্রমনে আনন্দ ফুর্তি করে দেশনেত্রীর মুক্তি চাওয়ার কি আছে? ঐক্যবদ্ধের অর্থ যদি এমন হয়, তারা গেলে আমার মুল্যায়ন কমে যাবে তাতে আমার বলার কিছু নেই। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ, সেই ঐক্য শুধু যুবদল হলেই হবেনা, বিএনপি সহ দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনকেই হতে হবে, নয়তো আমি সভাপতি সেনাপতি হয়েও কোন কাজে আসবেনা দলকে ক্ষমতায়ন করার প্লাটফর্ম তৈরী করতে হবে। দলকে ক্ষমতায় আনতে হলে তেলবাজী ছেড়ে ভোটের রাজনীতি করতে হবে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে হলে অবস্যই ভোট লাগবে, তাই জেলা কেন্দ্র ও ফোকাশ ছেরে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক হাল ধরার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের পদের প্রয়োজন নাই, তবুও আপনারা আসেন, দলের প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ। আমরা ঐক্যবদ্ধ চাই এবং আমাদের মাঝে সেই ঐক্য আছে বলেই বিশ্বাস করি। তবে কোন রাজনৈতিক স্ট্যন্ডবাজী সহ্য করা হবেনা। এমপি হলে হবে আজাদ সাহেব, নয়তো নেক্সট অন্য কেউ, আমরা দলের কর্মী, আমরা এমপি হবোনা। তাই আমাদের কথা বলার আগে ভাবা উচিৎ আমি কি বলছি। এটাও আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষা থাকা উচিৎ। গতকালের নৌকা ভ্রমনের ভুড়িভোজের অনুষ্ঠানকে যুবদলের ঐক্যের অংশ বলে চালিয়ে দিল অথচ বর্তমান থানা যুবদলকে জানানো হয়নি। তা হলে আমার প্রশ্ন, কিসের ঐক্যের কথা তারা বলছে? এমন মিথ্যা ও জগঘ্য ষড়যন্ত্রমুলক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জেলা যুবদলের উচিৎ ব্যবস্থা নেয়া, নয়তো যুবদলের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করার চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। কারন আমরা বিরোধী দলের রাজনীতি করি। তাদের এমন কর্মকান্ডে তৃনমূলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতি দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন বলে জেলা যুবদলের প্রতি বিশ্বাস রাখতে চাই। যুবদলকে ভাগ করে তারা কিসের স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় তৃনমূল তা জানতে চায়।