পুলিশের মুখোমুুখী হকারদের দাড় করানোর চেষ্টা, চলছে উস্কানী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের হকারদের উচ্ছেদে নেমেছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ওইদিন হকারদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। ওই সময় হকারদের মাঝখান থেকে ওঠে আসা হকার নেতা ও বাম দলের একজন নেতার উস্কানীতে ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা।

আবার সেই সব উস্কানীদাতারা শহরের ফুটপাত থেকে উদ্ধাস্থ হকারদের উস্কানী দেয়ার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। চেষ্টা চলছে হকারদের এবার পুলিশের মুখোমুখী দাড় করানোর। গত বছরের ঘটনায় এ বিষয়টি নিয়ে মুখোমুখী অবস্থানে ছিলেন মেয়র আইভী ও শামীম ওসমান। এবার পুুলিশ যখন উচ্ছেদ করেছে তখন পুলিশের মুখোমুখী হকারদের দাড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এদিকে সূত্রে জানাগেছে, হকারদের নেপথ্যে উস্কানী দিয়ে নারায়ণগঞ্জে অশান্ত করার পায়তারা করছে হকারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সোয়া কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায়কারি প্রভাবশালী মহলটি। তবে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে হকার বিষয়ে তারা আগের অবস্থানেই থাকবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন দেশের বাইরে গেছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতেই গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনারে হকারদের জড়ো হতে বলেছিলেন হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সী। এসময় শহীদ মিনার চত্ত্বরের ভেতরে ও বাইরে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

তবে ওই সময় হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সী দাবি করেন- শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে সন্ধ্যায় রাইফেলস ক্লাবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সাথে দেখা করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

এমপি একেএম শামীম ওসমানের সাথে কথা বলে আবারও ফুটপাতে বসার সুযোগ করে দেয়া যায় কিনা এটিই ছিল তাদের চেষ্টা। তবে এমপি শামীম ওসমান রাইফেলস ক্লাবে না আসায় হকাররা সন্ধ্যা পর্যন্ত শহীদ মিনারে কাটিয়েই যে যার মতো করে চলে গেছেন।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের (ডিআইও-২) পুলিশের পরিদর্শক সাজ্জাদ রুমন বলেন, হকার বিষয়ে পুলিশ আগের অবস্থানেই আছে। কোনো অবৈধ দখলদারকে ফুটপাতে বসতে দেয়া হবেনা। ফুটপাত সাধারণ মানুষের হাটার জন্য। এ ব্যাপারে পুলিশ কোনো ছাড় দেবেনা।