সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় হাইজাদীর সিংহদী এম এ মোতালিব ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম এ মোতালিব ভূঁইয়া ও একই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফানুর হক পর ম্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন।
প্রথম রীট মামলাটি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারি জজ কোটে করেছেন আফানুর হক।
৭ জুলাই রবিবার দুপুরে দ্বিতীয় মামলাটি আড়াইহাজার থানায় করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব ভূঁইয়া।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অভিযুক্ত আফানুর হককে পুলিশ গত ৬ জুলাই শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে রবিবার বিকালে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি স্থানীয় পশ্চিম আতাদী মৃত রমিজউদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২০১১ সালের ২ জুলাই হতে ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে কর্মরত ছিলেন আফানুর হক। তার কাছে বিদ্যালয়ের ফান্ডের আর্থিক হিসাব চাওয়া হলে তিনি বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকেন।
এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক প্রকার অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করে ২০১১ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্ব পর্যন্ত হিসাব চাওয়া হলে তিনি সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৩০ মে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে কমিটির কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে, আফানুর হক প্রধান শিক্ষক থাকা কালে বিভিন্ন সময় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
এদিকে আফানুরের ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল বলেন, আমার ভাইকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতির ভাতিজা সাদেকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষকের পদে বসানোর জন্য আফানুর হককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও হাইজাদীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়ের ফান্ডের ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারছিল না সাবেক প্রধান শিক্ষক। আদায়কৃত অর্থ নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়মের কোনো তোয়ক্কাই করেনি।