সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নবম শ্রেণির ছাত্র হামিমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে বিজয় সহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী। ৮ জুলাই সোমবার দুপুরে বন্দরের কাবিলের মোড় এলাকায় ঘটে।
প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুলের পোশাক পরিহিত অবস্থায় হামিমকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত হামিমকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের কাবিলের মোড়স্থ হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্র হামিম। একই স্কুলের ও শাখার বিজয় আহম্মেদ, মারুফ, রোহান, তাজরিয়ান, সিনহা, ফাহিম ও ব্যবসা শিক্ষার রিফাত সহ ৮/১০ জন মিলে কাবিলের মোড় হামিমকে আটক করে এবং প্রকাশ্য দিবালোকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে।
এসময় এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসতেই তারা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হামিমকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহত হামিমের শরীরের বিভিন্ন অংশ সহ নাকে মারাত্মকভাবে জখম হয়। আহত হামিম জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের আপন ভাতিজা হলেও তিনি বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব দিয়েছেন।
কাউন্সিলর আফজাল বলেন, আমার ভাতিজার কোন অন্যায় থাকলে ওর বিচার করতে হবে দ্বিগুণ। আমার ভাতিজা এটা বড় বিষয় নয়, স্কুলের ছাত্র এবং পোশাক পরিহিত অবস্থায় এভাবে মারধর তা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমাদের আদরের ভাতিজাকে এভাবে রক্তাক্ত জখম দেখতে হবে তা কোনদিন কল্পনা করিনি। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেই দায়িত্ব দিয়ে আপাতত রাখলাম। অন্যথায় কি হবে বা কোন ঘটনা ঘটে তা আমি বলতে পারিনা, একমাত্র আল্লাহতালা ভাল জানে।
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, জনপ্রতিনিধি দেখে অন্যায়ভাবে নিজ ভাতিজার রক্ত দেখে বসে থাকার লোক আমি আফজাল না। প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিত্ব ছেড়ে দিব। তারপরও দেখবো ওরা কারা, কি তাদের পরিচয় আর ওদের জন্য কে কে আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমি আফজাল হোসেন দেখবো। তাদের ইন্দনদাতা বা শেল্টারদাতা কারা? তারপর হবে খেলা শেল্টারদাতাদের সাথে। আমার ভাতিজার শরীরের রক্ত ঝড়েনি। এটা আমার শরীরের রক্ত।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থী অনেক আছে। মেধা ও ভদ্রতার তালিকায় ২০ জন থাকলে হামিমও একজন। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দুঃখজনক। মেনে নিতে আমার ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট লেগেছে। তবে কি নিয়ে এমন ঘটনা তার কোন সূত্র এখনও জানা যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। হামিম একজন ভদ্র ও ভাল ছাত্র। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ অব্যশই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এতে কোন প্রকার ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই।