দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পাশে বহিরাগতদের বিচরণ। তার পাশে নেই আড়াইহাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা। কারন গত কয়েক বছর ধরে আড়াইহাজারের রাজনীতিতে অবস্থান করে নেয়ার চেষ্টা করলেও তিনি আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে আসতে পারেননি। আড়াইহাজারের বাহিরে নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যান্য থানা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারে বিচরণ করেছিলেন। দলের মনোনিত প্রাথীর পক্ষে তাই নেই বিএনপি। তার সঙ্গে সার্বক্ষনিক রয়েছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কারনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে লড়াইটারও সম্ভাবনা নেই।
এছাড়াও এ আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুুর ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের নিয়ন্ত্রনে যখন বিএনপি তখন কর্মী শূন্য নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রার্থী করায় বিএনপি নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে নামেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তখনকার বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি আঙ্গুর। সেই দকল কুলিয়ে ওঠে পাস করতে পারেননি ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এবার নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে নেই খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন ও আতাউর রহমান আঙ্গুর। ফলে নজরুল ইসলাম আজাদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু এক সময় আজাদের সঙ্গে থাকলেও কয়েক মাস আগে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। আজাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছিলেন হাবিবুর রহমান হাবু। এখানে আড়াইহাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অগ্রহণযোগ্য বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার ছাড়া আড়াইহাজারের কোন নেতা আজাদের পক্ষে নেই। আর পারভীন আক্তার আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে দুইবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ফলে বুঝা যায় তাদের স্বামী স্ত্রীরও তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই এখানে।
নেতাকর্মীদের সূত্রে, আজাদের পাশে সার্বক্ষনিক দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেককে। যিনি বসবাস করছেন ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। তার পেত্রিক ভিটা আড়াইহাজারে হলেও আড়াইহাজারে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। একইভাবে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও দৌড়াচ্ছেন আড়াইহাজারে। অথচ তার নামের উপর রয়েছে নানা বিতর্ক। তার সঙ্গে আবার মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, এরশাদ আলী সহ ছাত্রদলের বর্তমান সাবেক নেতাকর্মীদের অনেককেই নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন আড়াইহাজারে। সঙ্গে দৌড়াচ্ছেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টিও। এসব নেতাদের দিয়ে আড়াইহাজারে আজাদ তার নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হতে চাচ্ছেন। কিন্তু এদের কথায় আড়াইহাজারে দশটা ভোটও টানতে পারবেন না আজাদ।
এসব ছাড়াও রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহামুদ উল্লাহ। যাকে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পূর্বে কেউ চিনতোইনা। মুলত আজাদের চাটুকার শ্রেণির একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী মাহামুদ উল্লাহকে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ট করিয়ে আনেন আজাদ। এদের ছাড়াও মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মীও আড়াইহাজারে ধাবিয়ে বেড়াচ্ছেন যারা আড়াইহাজারের বাহিরে রাজনীতি করেন। আজাদের চাচা লুৎফর রহমান আবদু বিএনপির রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটিতে তাকে সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ট করিয়ে আনেন আজাদ। তিনি বিএনপির সমর্থক পর্যায়ের ভুমিকায়ও ছিলেন না এর আগে। আড়াইহাজারের বিএনপি ছাড়াই এখনও আড়াইহাজারে জনসমাগম দেখাতে পারেননি আজাদ। আঙ্গুুর ও সুমনের বাসায় গিয়ে আজাদ সাক্ষাত করলেও নেতাকর্মীদের প্রতি আঙ্গুর ও সুমনের কোন নির্দেশনা না থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা চুপসে রয়েছেন।