সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের চৌথার আখরপাড়ায় শাহআলমকে হত্যার ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
১৭ জুলাই বুধবার নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী সুমী আক্তার, শ^শুর আলাউদ্দিন, দুইবোন সেলিনা বেগম ও শিরিনা বেগম তার ভাই শফিকুল এবং নবী হোসেনকে আসামি করা হয়।
আলাউদ্দিন ওই এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত শাহআলম রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতেন।
এর আগে গত ১৬ জুুলাই মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির পাশেরই একটি ধৈইঞ্চা ক্ষেত্রে লাশ পড়ে থাকাবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় ব্রাহ্মনন্দী ইউপির মারুয়াদী এলাকার মৃত আম্বর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ শ্বশুরবাড়িতে রাখা জমাকৃত টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্রে করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে নিহতের শ্যালিকা শিরিনা আক্তারের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজ।
মামলায় উল্লেখিত বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ৪বছর আগে শাহআলমের সঙ্গে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবেন ৩ বছরের এক সন্তান রয়েছে। শাহআলমের বিদেশ যাওয়ার প্রস্ততি চলছিল। বিদেশ যাওয়ার খরচ বাবদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা তার শ্বশুরবাড়িতে রাখা ছিল। জমাকৃত টাকা ফেরত চাইলেই তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
বাদী মামলার একাংশে আরো উল্লেখ্য করেন, টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ জুলাই বিকেলে নিহতের স্ত্রী ও তার শ্বশুরবাড়ির অন্যসদস্যরা তাকে মোবাইলে ডেকে নেন। এরই জেরে রাতের যে কোনো সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের মায়ের দেওয়া লিখিত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।