সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় কুমিল্লা-১ আসনের এমপি সেলিমা আহমেদ মেরীর গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল সহ ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। সাদরিল বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুুলিশ।
জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকায় প্রবাসী কালু মিয়ার বাড়ির সামনে এমপি সেলিমা আহমেদ মেরীর গাড়ি ভাংচুর ও শ্লীলতাহানি করার মামলায় গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল সহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। রিমান্ড শুনানির তারিখ আগামী ২১ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
এর আগে এমপি সেলিমা আহমেদ মেরীর গাড়ি ভাঙচুর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সোহেল।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন- ওমরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে হাফেজ আহমেদ, মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নানের ছেলে তানভির সিদ্দিকী, শাহজাহানের ছেলে কুদ্দুস, আহম্মেদ আলীর ছেলে শাকিল, মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে নাজমুল হোসে, মৃত শিরাজুল ইসলামের ছেলে মুসলেম উদ্দিন, আব্দুল সবুরের ছেলে ফয়েজ। এছাড়া আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা আহমেদ মেরীর খালাতো বোন সালমা বেগম ও তার স্বামী হাফেজ আহমেদ সিদ্ধিরগঞ্জের কালু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পারিবারিকভাবে ২০১৮ সালের বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়া সমাধানের জন্য ১৭ জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন এমপি সেলিমা আহমেদ মেরী। বিচার সালিশ শেষে উভয় পক্ষকে মিলে যাওয়ার কথা বলে ভবনের নিচতলায় চলে আসেন এমপি সেলিমা আহমেদ মেরী। তখন ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুরু করে হাফেজ আহমেদ। চিৎকার শুনে কাউন্সিলর সাদরিল ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। এমপি গাড়িতে না উঠে নিচতলার একটি রুমে আশ্রয় নেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে এমপির গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৩৮০) গ্লাস ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এমপি সেলিমা আহমেদ মেরীকে উদ্ধার করে। পরে এমপির অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর সাদরিল, হাফেজ আহমেদসহ ১০জনকে আটক করা হয়। সে সময় সালমার বাবা আব্দুল হাই ও খালাতো ভাই সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক ও একটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাম মোহাম্মদ সাদরিল নাসিক ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং ঢাকা বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অডিটর হাফেজ আহমেদ রয়েছে।
কাউন্সিলর সাদরিলের বাবা বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘রাতে মিমাংসার কথা বলে থানায় আমার ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন মামলা বিষয়টি বুঝতে পারছিনা।’