সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এবার ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসার প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। ফতুল্লার দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার ৩ শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য জানান, র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার আলেপ উদ্দীন।
তিনি জানান, ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার ৩ জন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পায়।
তিনি আরও জানান, র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৭ জুলাই শনিবার সন্ধা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন দারুল হুদা নামক মহিলা মাদরাসায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান নেত্রকোণা জেলার সদর থানার কাওয়ালিকোনা এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে। বর্তমানে ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার ১১জন ছাত্রীকে বিগত ৩ বছর ধরে মাদরাসায় তার রুমে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করে আসছে এবং এই অপকর্মের পর সেইসব ছাত্রীদের কেউ কেউ মুখ খোলার চেষ্টা করলে তাদের একেক জনকে একেক অপবাদ দিয়ে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়। এইভাবে সে বিভিন্ন বয়সী মাদরাসার ছাত্রীদেরকে কখনো বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আবার কখনো জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। সে ছাত্রীদেরকে কখনো আখিরাতের ভয় দেখিয়ে হুজুরের কথা শোনা ফরজ, না শুনলে গোনাহ হবে এবং জাহান্নামে যাবে এইরকম নানা ফতোয়ার মাধ্যমে, তাবিজ করে পাগল করা বা পরিবারের ক্ষতি করার কথা বলে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতো বলে স্বীকার করে।
এমনকি তার ৮বছর বয়সী নিকটাত্মীয় যে তার মাদরাসায় পড়তো তাকেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে ভিকটিম এর মা-বাবা অভিযোগ করে যা মোস্তাফিজ অকপটে স্বীকার করে। এছাড়াও ধর্ষক মোস্তাফিজ নিজেই বিভিন্ন জাল হাদিস তৈরী করে হুজুরের সাথে সর্ম্পক করা জায়েজ আছে বলে ছাত্রীদের বলত। একটি জাল হাদিসের মাধ্যমে অভিভাবক ও স্বাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় বলে একাধিক ছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ করার পর আরেকটি জাল হাদিসের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে ফতোয়া দিয়ে মাদরাসা থেকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে বের করে দিত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৬ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আরও ৫ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে।