সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের একাংশ। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান সহ তাদের অনুগামী নেতাকর্মীরা। অভিযোগ ওঠেছে- কোন রকম সাংগঠনিক প্রস্তুতি ছাড়াই সভাপতি খোরশেদ তার মনমত তার অনুগামী কজন কর্মী নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
জানাগেছে, ডেঙ্গু মশার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য জনগণকে সচেতন করার লক্ষে ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯ আগস্ট শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরী এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। যেখানে সভাপতি ও সেক্রেটারির উপস্থিতিতে হাতে গোনা ১৫ থেকে ১৬ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না। এমন একটি কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ অধিকাংশ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না।
ওইদিন নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সভার মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
আরো বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, জুয়েল প্রধান, রিটন দে, গোলাম কিবরিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু, দপ্তর সম্পাদক শওকত খন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন ও আলী নওশাদ তুষার প্রমূখ।
এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। এর আগেও কোন কর্মসূচিতে আমাদের জানানো হয়না। সভাপতি তার মনগড়ামত যখন তখন কিছু সংখ্যক কর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তিনি আগেও সাংগঠনিক নিয়ম মাফিক কোন কর্মসূচি পালন করেননি। তিনি এখনও করছেন না। এভাবে ১৫/১৬ জন নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচি পালন করে মহানগর যুবদলকে ছোট করা হয়েছে।
সভাপতিকে ইঙ্গিত করে তিনি ভিন্ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে বলে থাকেন কমিটি ও পদ দেয়ার জন্য দোকান বসিয়েছেন। আমি মনে করি যারা এই দোকান দোকান বলে থাকেন আগে তাদেরও দোকান ব্যবসা বন্ধ করা উচিত। আগে নিজের দোকান বন্ধ করুন, তারপর অন্যের দোকান ব্যবসার কথা বলুন। কারন ইতিপূর্বে সানোয়ার হোসেন ও আহম্মদ আলী বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে যেভাবে দোকান ব্যবসার কথা বলেছেন তাই আগে উনার দোকান ব্যবসা বন্ধ করা উচিত। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ মহানগর যুবদল।’
এদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় মহানগর যুবদলে। কমিটিতে অনেক অযোগ্য বিতর্কিত লোকজনদের বড় বড় পদে পদায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। যারা যুবদলের রাজনীতিতেও ছিলেন না এমন অনেককেই পদায়ন করা হয়। শুধুমাত্র সভাপতি ও সেক্রেটারি নিজেদের মন গড়ামত কমিটি গঠন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে যুবদলের অপর অংশের নেতারা বেশকটি অনুষ্ঠানে সভাপতি ও সেক্রেটারির তীব্র সমালোচনাও করেছিল।
সভাপতি ও সেক্রেটারির নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সমালোচনা করেন তা শুধরে নিয়ে মহানগর যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ গঠন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন মহানগর যুবদলের শীর্ষ তিন নেতা মনোয়ার হোসেন শোখন, সাগর প্রধান ও সানোয়ার হোসেন। এমনকি সভাপতিকে আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সভাপতি ও সেক্রেটারি কোন রকম কর্ণপাত করেননি। তারা ঐক্যবদ্ধ না করে ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যেখানে ইতিমধ্যে সানোয়ার হোসেনকে ম্যানেজ করতে সক্ষমও হয়েছেন। যার ফলে শুক্রবার সভাপতি ও সেক্রেটারির পাশেই দেখা গেল সানোয়ার হোসেনকে।