সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সন্ত্রাসী ও রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়দের স্থান দেয়ায় শুরুতেই বিতর্কিত হয়েছে। এবার সেই বিতর্কের রেস না কাটতেই কমিটি থেকে পদত্যাগ শুরু হয়েছে। কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত।
সম্প্রতি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত এই পদত্যাগপত্র মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশার ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রিফাত।
পদত্যাগপত্রে অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম আমাকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে কিন্তু আমি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎসজীবী দলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বরত আছি। আর বাংলাদেশ জতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী একই ব্যক্তি একই সাথে দুটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। তাই আমি স্বেচ্ছায় দলীয় গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ হতে পদত্যাগ করলাম।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানকে আহ্বায়ক ও আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎসজীবী দলের ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত।
তবে ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটিতে আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে অ্যাডভোকেট নুরুল কাদির সোহাগকে। রাজনীতিতে সোহাগ নেই বললেই চলে। আদালতপাড়ায়ও রিফাত সোহাগের চেয়ে অনেক গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করেছেন। বরাবররই মতই আদালতপাড়া ও আদালতের বাহিরের রাজনীতিতে সক্রিয় রিফাত। কিন্তু তার উপরের পদে রাখা হয়েছে সোহাগকে। বিষয়টি রিফাত মেনে নিতে পারেননি। যে কারনে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে গত ৮ আগষ্ট আবুল কাউসার আশাকে সভাপতি ও সাখাওয়াত ইসলাম রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর সেই কমিটিতে সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা করা হয় অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাতকে।