দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এখন সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা হিসেবে চিহ্নিত হলেন জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ।
এ ঘটনার পর ওসি সহ থানা পুলিশের আরও দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় এমপি, ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে বেশকটি ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে দেখা যায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। এসব ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে দেখা যায়। হামলার শিকারও মান্নান এও দাবি করেছেন, ওসি ইউএনও এর সামনেই তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁও থানার এই ওসি মোরশেদ আলম নিজেকে গোপালগঞ্জের ওসি দাবি করেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তিনি বলে বেড়াচ্ছেন ভোট বাক্সে ভোট জালিয়াতি করে এমপিকে জয়ী করতে হবে। তাই এই গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গানো ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ওসি পরিচয়ে মোরশেদ আলম আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের এপিএস শাহিদুল ইসলাম স্বপনকে ধরে এনে থানায় অমানসিক নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়। সোনারগাঁও থানা এখন টর্চার সেলে পরিনিত করেছেন মোরশেদ আলম। এই টর্চার সেলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। যে কারনে মান্নান এই দুজনেরও প্রত্যাতার দাবি করেছেন।
জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই মান্নানের উপর এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রনি বিল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে ইউএনও, আমি, নির্বাচন অফিসারসহ আমরা সবাই মিটিংয়ে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই রনি বিল্লাল নামে ছেলেটি দৌড়ে এসে আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাঞ্জাবী কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘রনি বিল্লাহ ইন্টারনেটের লাইনের কাজ করে। তবে আমি শুনেছি সে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’