দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
দীর্ঘ দশ বছর নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে এমপি রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বাবু। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর চালিয়ে আসছিলেন স্টীমরোলার। গত দশ বছরে আড়াইহাজার বিএনপি কার্যালয়ের তালাও খুলতে দেয়নি বাবু। দুইবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের উপর হামলা মামলা নির্যাতন করে জোড় করে ছিনিয়ে নেয় দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদগুলো। দশ বছরে আড়াইহাজারে খুন মারামারি রাহাজানি ডাকাতির ঘটনায় সন্ত্রাসীদের এক অভয়ারণ্যে পরিনত হয়। খুনের শিকার হয় পুলিশ কনেস্টবল সুমন। এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনের দিন বেধে রাখা হয়। নির্যাতন করা হয়। হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এ নিয়ে বিএনপি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছিল।
আবারো সেই রূপ দেখাচ্ছেন নজরুল ইসলাম বাবু। এবার জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চালাচ্ছেন তান্ডবলীলা। চলছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মী সমর্থক এমনকি ভোটারদেরও হুমকি ধমকি। থানা ইউনিয়ন পৌর থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থক ভোটারদের তালিকা তৈরি করে ধরে ধরে মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার চেয়ে নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপি কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমনকি প্রত্যেকের নামে তালিকা হচ্ছে বলেও ভয় দেখাচ্ছে। এমনি চলছে আড়াইহাজারে। ভোট প্রার্থনাতেই নামতে পারছেনা ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ।
জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বাজারের মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি ও মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবুর সেকেন্ড ইন কমান্ড সাতগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী ওয়াদুদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীদল। এসময় নজরুল ইসলাম আজাদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়তে চাইলে দেশীয় অস্ত্রর সাথে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতারী হামলা চালানোর ফলে বিএনপির প্রায় চল্লিশ জন নেতাকর্মী গুরুত্বও আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করে নজরুল ইসলাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, এই সন্ত্রাসী ঘটনা আগ থেকেই সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা নিশ্চুপ ছিলেন। প্রশাসনের সামনেই বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেননি। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি। সেইসাথে নির্বাচনের লেভেল প্লেং ফিল্ড নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি ।
তিনি দাবি করেন- বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জুবায়ের, নাজমুল, সিফাত, হৃদয়, আনোয়ার, জলিল, আইয়ুব আলী, মনির, সাদেক গুরুত্বর আহত সহ ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে এর আগের দিনও নজরুল ইসলাম আজাদের লোকজনের উপর হামলা চালায় এমপি বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী।